বিয়ে আপনার, দায়িত্ব আমাদের

Landing page down arrow
WhatsApp Logo

কিভাবে আপনি জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

  • tick markরেজিস্টার করুন নিজের বা পরিচিতজনের জন্য
  • tick markআপনার সকল তথ্য দিন
  • tick markসবগুলো ঘর ভালোভাবে পূরণ করুন
  • tick markকার্ড বা বিকাশে পে করুন
  • tick markপাত্র/পাত্রী খুঁজুন
  • tick markসম্পূর্ণ বায়োডাটা দেখার অনুরোধ করুন
  • tick markযোগাযোগের অনুরোধ করুন
  • tick markমেসেজ পাঠান
  • tick markদেখা করুন এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন

আমাদের সেবাসমূহ

Our-Services-icon-1-logo

সপ্তাহে ৭ দিন গ্রাহক সেবা

আমরা সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের সাথে আপনারা ইমেইল, ফোন অথবা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সকল সমস্যার সহজ এবং দ্রুত সমাধান করতে।

Our-Services-icon-2-logo

বিশেষ পরামর্শ

আমরা গ্রাহকদের আরও সুন্দরভাবে কিভাবে প্রোফাইলটি উপস্থাপন করতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকি। প্রিমিয়াম গ্রাহকদের চাহিদা সাপেক্ষে তাদের পছন্দের পাত্র বা পাত্রী খুঁজতে সাহায্য করে থাকি।

Our-Services-icon-3-logo

ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে সহযোগীতা

আমাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে গ্রাহক আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। যেকোনো ধরণের সমস্যা অথবা যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়ে থাকি। এছাড়াও আমরা ফেসবুক পেইজে কিছু পাত্র বা পাত্রীর নিজের সম্পর্কে কিছু কথা পোস্ট করে থাকি।

Our-Services-icon-4-logo

গোপনীয়তা ও বিশ্বস্ততার নিশ্চয়তা

আপনার অনুমতি ছাড়া ছবি, আসল নাম ও পূর্ণ প্রোফাইল কেউ দেখতে পারবে না। দুই ধাপে অনুমতি দেয়ার পরে গ্রাহক আপনার যোগাযোগের তথ্য পাবে। আমরা প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করি। আপনার অভিযোগ বা সন্দেহজনক তথ্য পেলে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেই।

আপনার প্ল্যান নির্বাচন করুন

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
প্রযোজ্য নয়
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
Cross icon
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
Cross icon
বায়োডাটা ডাউনলোড
Cross icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Cross icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Cross icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
১ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
২০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
৩ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
৫০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
৬ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
১০০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
* অফার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত চলবে

ব্লগ

আপনার কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার আগে কিছু গুনাবলী শিক্ষা দিন

blog-image-1
আমাদের দেশে কন্যার বিয়ের জন্য তাঁর বাবা-মায়ের বহু প্রস্তুতি নিতে হয়। বহু গুন অর্জন করতে হয় একজন বাঙ্গালী কন্যাকে। বাঙ্গালী কন্যার বিয়ের আগে কিছু বেসিক গুন থাকা দরকার যা তাঁর পরিবার থেকে সে অর্জন করে। এসব গুন অর্জন করতেই হবে তা নয় তবে এসব গুন বিয়ের পরে ঐ কন্যার গ্রহণ যোগ্যতা শ্বশুর বাড়িতে বেড়ে যায় বা যাবে। আসলে মানুষ সবাই স্বার্থপর। স্বার্থের জন্যই সাধারণত একে-অপরকে ভালবাসে। যদি কিছু উপকার আপনার কন্যার দ্বারা সরাসরি বিয়ের পরে ঐ বাড়ির মানুষ পায় তাহলে সে অবশ্যই সবার ভালবাসার মানুষ হয়ে যাবে। জোর করে আসলে ভালবাসা পাওয়া যায়না, ভালবাসা পেতে হলে উপকারের মাধ্যমে আদায় করতে হয়। আপনার কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার আগে কিছু গুনাবলী শিক্ষা দিন যেসব গুনের কারণে আপনার কন্যা সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারে- ১। পড়াশুনাঃ অবশ্যই শিক্ষা মানুষকে মহান করে। তাই বিয়ের আগে শিক্ষা অর্জন করা জরুরী। এই শিক্ষা পরিবার থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসায় হতে পারে। যেই লাইনেও পড়াশুনা হোক না কেন বাংলা, অংক, ইংরেজী, আরবী জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ সংসার জীবনে এসব জ্ঞান কাজে লাগবেই। এসব জ্ঞান আপনার কন্যাকে অবশ্যই দেওয়ার চেস্টা করুন। ২। হাতের কাজঃ কোন মেয়ে বিয়ের পরে যখন শ্বশুর বাড়ি যাবে তাঁর হাতের কাজ তাকে আরো ভালবাসার মানুষ বানিয়ে দিবে সবার কাছে। তাই বিয়ের আগেই কিছু হাতে কাজ শিখে রাখা দরকার। যেমন, স্বামীর জন্য রুমাল, শ্বশুরের জন্য টুপি, শাশুশীর জন্য নকশীকরা চাঁদর ইত্যাদি বানিয়ে উপহার দিলে ওই মেয়ে সবার আনন্দের কারণ হয়ে যাবে। ৩। ইসলামিক বেসিক জ্ঞানঃ মুসলিম পরিবারের মেয়ে হিসাবে সহিহ আকিদা সম্পন্ন জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। এক মহান আল্লাহর ইবাদত করতে হবে রাছুলুল্লাহ (সাঃ) যেভাবে বলেছেন সেইভাবে। কোন মনগড়া কাজকে ইবাদত হিসাবে করা যাবেনা। শির্ক, বিদআত সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ৪। পর্দা, নামাজঃ পর্দা মেয়েদের জন্য ফরজ একটি ইবাদত। এই পর্দা কার সাথে কতটুক করতে হবে জানতে হবে। কার সামনে ১০০ ভাগ পর্দা করতে আর কার সামনে মুখ, হাতের কবজি, পায়ের পাতা বের হলে সমস্যা নেই এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। সময়মত নামাজ আদায় করলে ঐ নববধূ সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। ৫। সেলাই কাজ বা টেইলারিং কাজ জানাঃ পূর্বেকার মুরুব্বীরা তাদের মেয়েদেরকে যেসব বেসিক বিষয় ঘর থেকে শিক্ষা দিত তারমধ্যে অন্যতম হল দর্জির কাজ বা টেইলারিং এর কাজ। এই কাজ এইজন্য যে, যাতে নিজের সালোয়ার, কামিজ ও নিত্য প্রয়জনীয় কিছু কাজ ঘরে বসেই করতে পারে। এসব কাজ জানা থাকলে সংসারে কিছু খরচ বাঁচান যাবে এবং ঘরে বসে নিজের দক্ষতার প্রমাণ মিলবে। ৬। রান্না শিখাঃ অনেক ধনী লোকের মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বর্তমানে শোনা যাচ্ছে। তারা রান্না করতে জানেনা। এসব মেয়েরা মনে করে ধনী পরিবারে বিয়ে হলে কাজের লোক থাকবে আর রান্নার কাজটা তারাই করবে। ধনী পরিবারে বিয়ে হলেও রান্না শিখাটা জরুরী। রান্না একটি শিল্প ও আনন্দের বিষয়। এটা কোন অসম্মানজনক কাজ নয় বরং রান্না জানলে ঐ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালবাসা বেড়ে যাবে। এছাড়া বিভিন্ন সময় রান্না করার দরকার হতেই পারে, তাই বিয়ের আগে রান্না করা শিখতে হবে। ৭। বিভিন্ন ধরনের কেক, পিঠা বানান জানাঃ বর্তমানে অনলাইনের যুগ। কেউ চাইলে ঘরে বসেই কেকসহ বিভিন্ন আইটেমের খবার বানান শিখতে পারে। এসব কেক বানিয়ে নিজের পরিবারের লোকজনদেরকে মাঝে মাঝে খাওয়ালে সু-সম্পর্ক বাড়বে। ৮। স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞান থাকাঃ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিজের স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। নিজের শরীর যে নিজে সুস্থ রাখতে পারেনা, সে অন্যের স্বাস্থেরও যত্ন নিতে পারবেনা। তাছাড়া অসুস্থ মানুষকে নিয়ে কে বেশিদিন ব্যস্ত থাকবে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। নিয়মিত গোছল করা, পরিস্কার জামা কাপড় পরিধান করা, সময়মত খাওয়া, ঘুমানো, স্বামীর জন্য রুপচর্চা করা ইত্যাদি কাজ বিয়ের আগে থেকেই অভ্যাস করতে হবে। ৯। অর্থ সঞ্চয় ও বাজার সম্পর্কে ধারণা থাকাঃ স্বামীর সংসারে যাতে উন্নতি হয়, অর্থ সঞ্চয় হয় সেই জন্য সচেতন হতে হবে। যেসব মেয়েরা বিয়ের আগে বাবার জন্য অর্থ সঞ্চয়ে সহযোগিতা করে, অপচয় করেনা। তারা বিয়ের পরে স্বামীর সংসারেও এই গুণাবলীর বাস্তবায়ন করে। তাই স্বামীর বাড়ি যাওয়ার আগেই এসব গুন অর্জন করতে হবে। স্বামীর আদর, শশুর- শাশুড়ির আদর এত সহজে পাওয়া যায়না। যখন আপনার দ্বারা সত্যিকারেই স্বামীর উপকার হবে, তখন আপনাকে ভালবাসতে বাধ্য হবে। ১০। বড়দের সম্মান করা, ছোটদেরকে স্নেহ করাঃ বড়দের সম্মান করা এবং ছোটদের স্নেহ করা- এই গুন অবশ্যই একজন মেয়েকে বিয়ের পরে জনপ্রিয় করে তুলবে। তবে হঠাৎ করেই এসব গুন নিজের মধ্যে আসবেনা। নিজের বাবা-মাকে যে সম্মান করতে জানেনা, নিজের ছোট ভাই-বোনকে যে ভালবাসতে জানেনা সে কিভাবে স্বামীর বাড়ির বড়দেরকে সম্মান করবে, ছোটদের ভালবাসবে। তাই বিয়ের আগেই এসব গুন অর্জন করতে হবে। ১১। মিথ্যা, গীবত, চোগলখুরী থেকে দূরে থাকাঃ খুব সহজে সবার প্রিয় হওয়ার জন্য অনেকেই এসব মিথ্যা, গীবত বা চোগলখুরীতে অংশ নেয়। কিন্তু গীবতকারী সাময়িক সামনে প্রশংসা করলেও কিছুক্ষণ পরেই ঐ নববধুর নামেও গীবত করবে। তাই মিথ্যা না বলে সত্য কথা বলতে হবে, কম কথা বলতে হবে, গীবত করাই যাবেনা। চোগলখুরী ধরা পড়লে সবাই একসময় ঘৃণা করবে। নতুন বঊ অনেক সময় না বুঝে এসব কাজ করে, পরে সবাই একজোট হয়ে তাঁর পিছনে উঠে পরে লাগে। যদি প্রথম থেকেই নতুন বউ এসব ঝামেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখে- সে একসময় সবার প্রিয় হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। এসব কথা আমাদের জীবন থেকে, বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলা। আপনার কন্যার জন্য বা কন্যা আপনি নিজে বিয়ের পরে একরাশ শান্তির জীবনের স্বপ্ন দেখছেন অথচ এটা খুবই কঠিন জিনিস। কিন্তু আপনার মধ্যে যদি কিছু উপকারী গুনাবলী থাকে যা ঐ পরিবারের উপকারে আসবে তাহলে কঠিন জিনিসকে মহান আল্লাহ আপনার জন্য সহজ করে দিবেন। আপনি হয়ে উঠবেন সবার প্রিয় পাত্র।

বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী দেখার নিয়ম

blog-image-2
বিয়ে সবার জীবনে সবচাইতে আনন্দের বিষয়। এই আনন্দ আরো বেড়ে যায় যখন একে-অপরে সাথে দেখা সাক্ষাৎ পর্ব শুরু হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে একে অপরকে ভালভাবে দেখা নেওয়া ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ম।  বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী দেখার নিয়ম সম্পর্কে ইসলামঃ সাহাবা(রাঃ) এর বিয়ের ঘটনা অনেক রয়েছে। তারমধ্যে দুইটি হাদিস দিয়ে আমরা কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি।   যেমন, মুগিরা বিন শোবা (রা.) বলেন, ‘আমি এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। এটা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি তাকে দেখেছ?’ আমি বললাম, ‘না, দেখিনি।’ তখন তিনি বললেন, ‘তাকে দেখে নাও।’ তোমার এই দর্শন তোমাদের দাম্পত্য জীবনে প্রণয়-ভালোবাসা গভীর হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’ (তিরমিজি: ১০৮৭)  আরেক হাদিসে এসেছে, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোন নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে তখন সম্ভব হলে যেন তাঁর এমন কিছু দেখে নেয় যা তাকে বিয়ে করতে উৎসাহিত করে। এরপরে এই সাহাবী (রাঃ) বলেন, আমি একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরে তাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা আমার অন্তরে গোপন ছিল। অতঃপর তাঁর মাঝে আমি এমন কিছু দেখি যা আমাকে তাকে বিয়ে করতে আগ্রহী করে তোলে। অতঃপর আমি তাকে বিয়ে করি। (সুনান আবু দাউদ ২০৮২) অর্থাৎ আপনি যাকে বিয়ে করতে চান তাকে ভালভাবে দেখে নেওয়া ইসলামে বৈধ। আমাদের সমাজে পাত্র তাঁর পছন্দের পাত্রীকে দেখতে পারে-এটা খুব স্বাভাবিক।  কিন্তু পাত্রী কি পাত্রকে দেখতে পারবে? বিয়ের ক্ষেত্রে যেমন পাত্র পাত্রীকে দেখতে পারবে ঠিক একইভাবে পাত্রীও পাত্রকে দেখে নিতে পারবে। কারণ এখানে উভয়ের মতামত এবং পছন্দের ব্যাপার রয়েছে। পাত্রীও নিজের পছন্দ অনুযায়ী পাত্রকে প্রস্তাব পাঠাতে পারবে, দেখতে পারবে। অতএব বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও বিয়ের জন্য পাত্র নির্বাচন করা, প্রস্তাব দেওয়া ইসলামে যায়েজ করা হয়েছে। আল-কুরআনুল কারীমে হজরত মুসা (আঃ) এর বিয়ের ঘটনা এসেছে।  সূরা কাসাস  (২৫-২৭ নং আয়াত) হতে বর্ণিত,  শুয়াইব (আঃ) (মতান্তরে তিনি অন্য কেউ ছিলেন) এর দুই মেয়ে পশুকে পানি করানোর জন্য কূপের নিকট এসেছিল। যেখান থেকে পানি তুলবে সেই কূপের একটু দূরে তারা অপেক্ষা করছিল। কূপের ঢাকনা তুলে পানি তুলতে হত বালতি দিয়ে। ঢাকনা ছিল অনেক ওজনের এবং তারা পানি তোলার জন্য অপেক্ষা করছিল। দূরে থেকে মুসা (আঃ) দেখতে পেলেন এবং নিজে তাদেরকে পানি তুলে দিলেন। বালিকা দুইজন বাড়িতে ফিরে তাদের পিতাকে এই উপকারের কথা জানালেন। পিতা সব শুনে তাদেরকে পাঠালেন মুসা (আঃ) কে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য। অতপর দুই বালিকার একজন লজ্জজড়িত পদক্ষেপে তাঁর কাছে আগমন করলো। বললো, আমার পিতা আপনাকে ডেকেছেন, যাতে আপনি যে আমাদের পশুকে পানি পান করিয়েছেন তার বিনিময় পুরস্কার প্রদান করেন। অতপর মুসা যখন তাঁর কাছে গেলেন এবং সব বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বললেন, ভয় করোনা। তুমি জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছ। (সূরা কাসাস, আয়াত নং২৫) এর পরে মুসা (আঃ) এর কিছু প্রশংসা গোপনে নিজের বাবার কাছে বর্ণনা করলেন ঐ দুই মেয়ে। যেমন,  قَالَتۡ اِحۡدٰىهُمَا یٰۤاَبَتِ اسۡتَاۡجِرۡهُ ۫ اِنَّ خَیۡرَ مَنِ اسۡتَاۡجَرۡتَ الۡقَوِیُّ الۡاَمِیۡنُ  “দুই বোনের একজন বললো, পিতা! তাকে চাকর নিযুক্ত করুন। কেননা, আপনার চাকর হিসাবে সে-ই-উত্তম হবে; যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত। (সূরা কাসাস, আয়াত নং ২৬) এখানে দুইটি গুণ মুসা (আঃ) এর যা একজন বোনের পছন্দ হয়েছিল। শক্তিশালী ও বিশ্বস্ততা। এখনও পাত্র নির্বাচনে এসব গুণাবলীকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। এরপরে শুরু হল বিয়ের প্রস্তাব বিনিময়। আল-কুরআন অনুযায়ী, قَالَ اِنِّیۡۤ اُرِیۡدُ اَنۡ اُنۡکِحَکَ اِحۡدَی ابۡنَتَیَّ ہٰتَیۡنِ عَلٰۤی اَنۡ تَاۡجُرَنِیۡ ثَمٰنِیَ حِجَجٍ ۚ فَاِنۡ اَتۡمَمۡتَ عَشۡرًا فَمِنۡ عِنۡدِکَ ۚ وَمَاۤ اُرِیۡدُ اَنۡ اَشُقَّ عَلَیۡکَ ؕ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰہُ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ “(বালিকার) পিতা মুসাকে বললেন, আমি আমার এই দুই কন্যার একজনকে তোমার সাথে বিয়ে দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার চাকরি করবে, যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর, তা তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে কস্ট দিতে চাইনা। আল্লাহর ইচ্ছার তুমি আমাকে সৎকর্মপরায়ণ পাবে।” (সূরা কাসাস, আয়াত নং ২৭) এভাবে মুসা (আঃ) এর সাথে শুয়াইব (আঃ) এর কন্যার সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়।  এখানে পাত্রী নিজে পাত্র সম্পর্কে ভাল গুণ তাঁর বাবাকে জানিয়ে ছিলেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নেননি। বাবা শুধু শুনেই বিয়ের আয়োজন করেননি; তাকে ডেকে এনে নিজে সরাসরি সব কথা শুনেছিলেন। তারপর নিজে আশ্বস্ত হয়ে কন্যার ইঙ্গিতকে বুঝতে পেরে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান করেন। এখানে বাবা পাত্রকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। তাই পাত্রী তাঁর পছন্দ বা মতামত অভিভাবককে জানাতে পারবেন কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারবেননা। সিদ্ধান্ত অভিভাবক নিবেন।  ভাল পাত্রের দুই গুণাবলী, শক্তিশালী ও বিশ্বস্ততা:  কন্যা সরাসরি বিয়ের কথা বলেননি। বলেছিলেন বাবার সহযোগিতা হতে পারে কারণ সে শক্তিশালী এবং বিশ্বস্ত। কূয়া থেকে পানি তোলা এবং তাদের দিকে না তাকানোর মানসিকতা থেকে এই দুই বোনের মনে এই ভাল ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল। কন্যাদ্বয়ের কথা শুনে পিতা এরকম যুবক ছেলেকে নিজের বাড়িতে চাকর না বানিয়ে বরং জামাই করে রাখাকে বেশি সঠিক সিদ্ধান্ত হবে মনে করে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। অতএব, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে খাদিজা (রাঃ) এর বিয়ে যেমন পাত্রী এর অভিভাবকের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এবং মুসা(আঃ) এর বিয়ের ক্ষেত্রেও একইভাবে পাত্রী এর অভিভাবকের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে হয়েছিল। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র যেমন পাত্রীকে প্রস্তাব দিতে পারবে একইভাবে পাত্রী পক্ষের অভিভাবক পাত্রকে প্রস্তাব দিতে পারবে। পাত্র/ পাত্রীকে দেখার ব্যাপারে বিভিন্নভাবে দেখা যেতে পারে। যেমন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ যখন জানতে পারলেন যে, যার সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছে তাকে সরাসরি দেখা যাবে তখন তিনি এমনভাবে দেখলেন যা তাঁর মধ্যে ঐ মেয়ের প্রতি আরো আগ্রহ বাড়িয়ে দিল।  তবে বর্তমানে যেভাবে দেখা হয় পারিবারিকভাবে সেটাও ঠিক আছে কিন্তু মাহরাম বা গায়রে মাহরাম মেনে দেখতে হবে।  পাত্রী দেখার শর্তগুলি হলঃ এ সম্পর্কে হিদায়া ও আলমুগনী কিতাবে এসেছে, ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের আগে গাইরে মাহরামদের মধ্যে শুধু পাত্রই পাত্রীকে শর্ত সাপেক্ষে দেখতে পারবে - পাত্রী দেখার সময় পাত্র পক্ষের অন্য কোন পুরুষ যেমন, বাবা, ভাই, বন্ধুবান্ধব প্রমুখ কেউ পাত্রী দেখতে পারবে না। তাদের দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও কবিরা গুনাহ। পাত্রীর সাথে পাত্র কথা বলতে পারবে তবে শরীরে স্পর্শ করতে পারবেনা।  খবরাখবর নেওয়ার পরে বিয়ে করতে মনস্থির করলে পাত্রীকে দেখে নেওয়া উত্তম। তবে এভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে না দেখে অনানুষ্ঠানিকভাবে  দেখে নেওয়াই উত্তম। দেখার সময় পাত্রী হাত ও মুখ দেখা যেতে পারে। কাপড়ের উপর দিয়ে যদি শরীরের সামগ্রিক অবয়ব দেখে নেওয়া যায় তাহলে কোন অসুবিধা নেই। আর হ্যাঁ শুধু বিয়ের করার উদ্দেশ্যেই পাত্রীকে দেখতে পারবে অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয় (হিদায়াঃ ৪/৪৪৩ এবং আলমুগনিঃ ৭/৭৪)। পাত্রের পরিবারের নারীরা চাইলে পাত্রীকে দেখতে পারবে।  মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে বিয়ের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পাত্র/পাত্রী নির্ধারণের এবং দেখা সাক্ষাতের ফয়সালা করে দিন, সমাজে শান্তির ফয়সালা করে দিন। আমিন।