বিয়ে আপনার, দায়িত্ব আমাদের

Landing page down arrow
WhatsApp Logo

কিভাবে আপনি জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

  • tick markরেজিস্টার করুন নিজের বা পরিচিতজনের জন্য
  • tick markআপনার সকল তথ্য দিন
  • tick markসবগুলো ঘর ভালোভাবে পূরণ করুন
  • tick markকার্ড বা বিকাশে পে করুন
  • tick markপাত্র/পাত্রী খুঁজুন
  • tick markসম্পূর্ণ বায়োডাটা দেখার অনুরোধ করুন
  • tick markযোগাযোগের অনুরোধ করুন
  • tick markমেসেজ পাঠান
  • tick markদেখা করুন এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন

আমাদের সেবাসমূহ

Our-Services-icon-1-logo

সপ্তাহে ৭ দিন গ্রাহক সেবা

আমরা সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের সাথে আপনারা ইমেইল, ফোন অথবা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সকল সমস্যার সহজ এবং দ্রুত সমাধান করতে।

Our-Services-icon-2-logo

বিশেষ পরামর্শ

আমরা গ্রাহকদের আরও সুন্দরভাবে কিভাবে প্রোফাইলটি উপস্থাপন করতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকি। প্রিমিয়াম গ্রাহকদের চাহিদা সাপেক্ষে তাদের পছন্দের পাত্র বা পাত্রী খুঁজতে সাহায্য করে থাকি।

Our-Services-icon-3-logo

ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে সহযোগীতা

আমাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে গ্রাহক আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। যেকোনো ধরণের সমস্যা অথবা যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়ে থাকি। এছাড়াও আমরা ফেসবুক পেইজে কিছু পাত্র বা পাত্রীর নিজের সম্পর্কে কিছু কথা পোস্ট করে থাকি।

Our-Services-icon-4-logo

গোপনীয়তা ও বিশ্বস্ততার নিশ্চয়তা

আপনার অনুমতি ছাড়া ছবি, আসল নাম ও পূর্ণ প্রোফাইল কেউ দেখতে পারবে না। দুই ধাপে অনুমতি দেয়ার পরে গ্রাহক আপনার যোগাযোগের তথ্য পাবে। আমরা প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করি। আপনার অভিযোগ বা সন্দেহজনক তথ্য পেলে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেই।

আপনার প্ল্যান নির্বাচন করুন

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
প্রযোজ্য নয়
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
Cross icon
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
Cross icon
বায়োডাটা ডাউনলোড
Cross icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Cross icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Cross icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
১ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
২০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
৩ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
৫০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
৬ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
১০০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
* অফার ১২ জুন ২০২৫ পর্যন্ত চলবে

ব্লগ

বিয়ে করার সহজ উপায়

blog-image-1
বিয়ে দিন দিন জটিল হচ্ছে, সহজে আর বিয়ে হচ্ছেনা। বিয়ে কিভাবে সহজে করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। কিছু আইডিয়া জানা থাকলে খুব সহজেই আপনি বিয়ে করতে পারবেন। বিয়েটা ডট কম রয়েছে আপনার পাশে। রেজিস্ট্রেশন করলেই শত শত পাত্র/পাত্রীর প্রোফাইল আপনি দেখতে পারবেন। তারপরে প্ল্যান কিনে যাদেরকে পছন্দ অনুরোধ/প্রস্তাব পাঠান শুরু করবেন। সময় নেওয়া, প্ল্যান আপগ্রেড করা, বিয়েটার হেল্পলাইনের হেল্প নেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি সহজে বিয়ে করতে পারবেন।  বিয়ে করার সহজ উপায় সম্পর্কে কিছু আইডিয়াঃ  ১। চাহিদাকে সীমিত করাঃ পাত্র হোক আর পাত্রীই হোক বেশি চাহিদার কারণেই বিয়ে সহজ হচ্ছেনা। যেমন, পাত্ররা চায় অনেক সুন্দরী লম্বা, শিক্ষিত আবার ভদ্র মেয়ে। কেউ কেউ এসবের সাথে চাকুরিজীবী পাত্রীও আশা করেন কিন্তু বয়স বেশি হওয়া যাবেনা এবং পারিবারিক অবস্থা ভাল হতে হবে ইত্যাদি। পাত্রীরা আশা করেন পাত্র আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী, লম্বা, উচ্চ শিক্ষিত ও ভাল মনমানসিকতার হতে হবে। এভাবে আমাদের চাহিদাগুলো এত ব্যপক যা এক পক্ষে পূর্ণ করতে পারলেও আরেক পক্ষ তা পূরণ করতে পারেনা, ফলে বিয়ে হয়না। তাই এক্ষেত্রে নিজের চাহিদাকে সীমিত করতে হবে। সবকিছু সম্পর্ণ পছন্দুযায়ী মিলবেনা-এটাকে মেনে নিতে হবে। যদি মেনে নেওয়া যায় তাহলে বিয়ে সহজ হবে।               ২। বয়সকে খুব বেশি প্রাধান্য না দেওয়াঃ বয়সের অসমাঞ্জস্য বিয়ে না হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। পাত্ররা আশা করে তাঁর স্ত্রী তাঁর চাইতে ৪/৫ বছরের ছোট হতে হবে। আবার পাত্রীরা আশা করে অবশ্যই পাত্রকে তাঁর চাইতে বয়সে বড় হতে হবে, সমান বয়সী বা ছোট হওয়া যাবেনা। কিন্তু দুনিয়াতে বহু সফল বিয়ের গল্প রয়েছে যেখানে বয়সের বিরাট পার্থক্য ছিল। তাই যদি পছন্দ হয়ে যায়, বয়সের কথা ভুলে যেতে হবে। হতে পারে পাত্রী আপনার বড় বা অনেক ছোট কিন্তু চেহারা পছন্দ, উচ্চতা পছন্দ- তাহলে এই একটি বিষয়ের কারণে কেন বিয়ে হবেনা। যদি এই বিষয়কে প্রাধান্য না দেওয়া হয় তাহলে সহজেই বিয়ে হবে। ৩। উচ্চতা নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়া যাবেনাঃ পাত্ররা কখনই নিজের চাইতে বেশি উচ্চতার পাত্রী বিয়ে করতে চাননা। একইভাবে পাত্রীরাও একই চাহিদা, পাত্রকে তাঁর চাইতে লম্বা হতেই হবে। কিন্তু বেশি উচ্চতার মেয়ে বিয়ে করলেই যে আপনি হেরে যাবেন বা কম উচ্চতার ছেলেকে বিয়ে করলে আপনি সফল হবেননা-এই ধারনা ভুল। যদি অন্যান্য সবকিছু মিলে যায় তাহলে এই উচ্চতা নিয়ে বেশি চিন্তিত হবেননা।  ৪। সৌন্দর্য্যঃ সবকিছু মিলে গেলেও, মেনে নিলেও এখানে কোন ছাড় নেই। সুন্দরী হতেই হবে। পাত্র-পাত্রী উভয়েই কেউ এই বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি নয়। অথচ প্রাধান্য দেওয়া উচিত আপনাকে কে পছন্দ করেছে অর্থাৎ সে যদি সুন্দরও না হয় কিন্তু আপনাকে পছন্দ করেছে, তাহলে আপনি বিয়ের পরে বেশি আনন্দে থাকবেন। তাই অন্যের পছন্দকে প্রাধান্য দিলে নিজে সারা জীবন আনন্দে থাকবেন। কারণ, সে আপনাকে আনন্দ দেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকবে।  ৫। যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ একজন পাত্র/পাত্রীর পড়াশুনা, উচ্চতা, সৌন্দর্য্য সব কিছু পছন্দ হলেও শুধু পছন্দের এরিয়াতেই বা দূরে বাড়ি হওয়াতে বিয়েতে রাজি নয়। একটা সময় ছিল যখন ঢাকা থেকে রংপুর যেতে ৮/৯ ঘন্টা লাগতো কিন্তু বর্তমানে ৪/৫ ঘন্টা লাগে। তাই সেই দুরুত্ব থাকলেও সময় কিন্ত কম লাগে। এসব বিষয় বিবেচনা করলে বিয়ে সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া ইন্টারনেটের ব্যবহার, ভিডিও কলে যোগাযোগ ইত্যাদি কারণে এখন আর কেউ আসলে দূরে নয়। ৬। পড়াশুনাঃ পাত্ররা নিজের চাইতে কম বা সমমানের পড়াশুনা জানা পাত্রীকে বিয়ে করতে চাইলেও, পাত্রীরা এব্যাপারে সম সময় নিজের চাইতে বেশি আশা করে, কম পড়াশুনার পাত্রকে বিয়ে করতে চায়না। কিন্তু একটি মেয়ে বেশি শিক্ষিত হতেই পারে, তাই বলে তাকে বিয়ে করা যাবেনা। বিয়ের পরে সংসার চালাতে অর্থ লাগে, সাহস লাগে যা পুরুষের যদি থাকে তাহলে কম শিক্ষিত হলে অসুবিধা কি। তাই কম শিক্ষিত ছেলেকে বিয়ে করলে আপনার প্রতি ভালবাসা বেড়ে যাবে। ৭। পেশাঃ পেশার ক্ষেত্রে অনেক পাত্রীই চায় সরকারি চাকুরিজীবী বা ব্যবসায়ী বা প্রবাসে (ইউরোপ, আমেরিকায়) থাকতে হবে। যদিও তাঁর অন্যান্য বিষয় পছন্দ হলেও শুধু পেশা পছন্দ না হওয়ার কারণে বিয়ে হয়না। এক্ষেত্রে সম্মানজনক রিজিকের সাথে সম্পর্কিত কিনা সেটাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাহলে বিয়ে সহজ হবে। ৮। পারিবারিক অবস্থাঃ বর্তমানে পাত্র উচ্চ শিক্ষিত, ভাল পেশার সাথে জড়িত কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্য কম শিক্ষিত বা ভাল পেশার সাথে জড়িত না হওয়াতেও বিয়ে হয়না। অথচ যদি পাত্র যোগ্যতা সম্পন্ন হয় তাহলে পরিবারের অন্যরা কম শিক্ষিত হলে বা কম যোগ্যতা সম্পন্ন হলে বরং বিয়ের পরে ঐ পাত্রী বেশি সম্মান ও ভালবাসা পেতে পারে।  ৯। ধর্মীয় শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়াঃ ধর্মীয় শিক্ষা না থাকাতে চাহিদা বেশি থাকে। কারণ, তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব থাকে, অল্পতেই খুশি হতে পারেনা। যদি ধার্মিকতাকে প্রাধান্য দেন তাহলে বিয়ে সহজ হবে। কারণ, ধার্মিক পাত্র/পাত্রীদের চাহিদা কম থাকে।  ১০। দুনিয়াকে প্রাধান্য না দেওয়াঃ দুনিয়ার জীবনে যাদের শান্তিতে, আরামে, থাকতেই হবে একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে যায় সেই মানুষেরা নিজের পছন্দের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দিতে পারেনা, ছাড় দিতে চায়না। ফলে তাদের জন্য বিয়ে কঠিন হয়ে যায়, সহজে বিয়ে হয়না। এই জন্য দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেওয়া যাবেনা। দুনিয়াতে জীবন কাটাতে হবে- এইজন্য জীবনসংগী প্রয়োজন। তাই বিয়ে করতে হবে, এভাবে চিন্তা করলে বিয়ে সহজ হবে।  ১১। অল্প বাজেটঃ বিয়েতে প্রচুর খরচ যেমন, গায়ে হলুদ, বৌভাত, সাজ-সজ্জা, হানিমুন ইত্যাদি বিষয় চিন্তা করেও বিয়েতে দেরী হচ্ছে। অথচ এগুলো কোন বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। আপনি কনেকে দেখবেন, পছন্দ হলে কয়েকজনকে সাক্ষী রেখে, পিতা-মাতার উপুস্থিতিতে বিয়ে করে ফেলবেন। এরপরে আত্বীয় স্বজনদেরকে জানিয়ে দিবেন। পারলে খরচ করবেন, না পারলে করবেননা। এভাবে অল্প বাজেটে বিয়ের চিন্তা করুন, বিয়ে সহজ হয়ে যাবে। ১২। নিয়্যত করা ও প্রস্তুতি শুরু করাঃ আপনি বিয়ে করতে চাইলে প্রথমে নিয়্যত করুন এবং চেস্টা শুরু করে দিন। বিয়ে করবো, করতে হবে। এইজন্য পাত্র হলে কিছু অর্থ সঞ্চয় করুন। নিজের নিকট আত্বীয়দের জানিয়ে দিন। ১৩। টাইম লাইন ঠিক করাঃ আপনি কত দিনের মধ্যে বিয়ে করতে চান সেটা ঠিক করুন। ২ মাস ৬ মাস বা ১ বছর- নির্দিস্ট করুন। এভাবে টাইম লাইন নির্দিস্ট করলে নিজের মধ্যে বিভিন্ন প্রয়োজন ও প্রয়োজন পূরণের তাকিদ সৃষ্টি হবে। অন্যথায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। ১৪। অর্থ বাজেট করুনঃ বিয়ে করতে আপনাকে অর্থ খরচ করতে হবে। সেই জন্য বাজেট ঠিক করুন। কনেকে দেখা, যাতায়াত, উপহার দেওয়া, বিয়েটার জন্য বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। বরের জন্য নিজেকে সাজিয়ে তুলতে হবে। সেই জন্য সুন্দর পোশাক উভয়কে ক্রয় করতে হবে। বিয়ের সময় খরচ, বিয়ের পরবর্তী কয়েকমাস সুন্দরভাবে স্ত্রীকে পরিচালনার খরচ ইত্যাদি আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।  ১৫। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখাঃ দুনিয়াতে কেউ পারফেক্ট নয়, এটা সম্ভব নয়। আপনার পছন্দের একটি লিস্ট করুন- যেমন বয়স, পেশা, পড়াশুনা, উচ্চতা, সুন্দর (ফর্সা, স্লিম, উজ্জ্বল শ্যমলা) ইত্যাদি। এখানে কোননা কোন বিষয়ে ছাড় দিতে হবে বা কোন বিষয়ে ছাড় দিবেননা সেটা মাথায় রাখতে হবে।  এতসব বিষয়ে মধ্যে ছাড় দেওয়ার মনমানসিকতাই আপনার বিয়েকে সহজ করে দিবে ইনশাআল্লাহ।

বেশি বয়সে বিয়ে করলে কি হয়

blog-image-2
বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন, যা জীবনে ভালোবাসা, স্থিতিশীলতা ও দায়িত্ববোধের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরিপক্বতা গঠনে ভূমিকা রাখে। কুরআনে বিবাহকে মানব সভ্যতা গঠনের একটি মজবুত ও পবিত্র চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে, যেখানে নর-নারীর পারস্পরিক সম্পর্ক সুস্পষ্ট নিয়ম ও দায়িত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। অপরদিকে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে সামাজিক ও নৈতিক বিচ্যুতি হিসেবে দণ্ডনীয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা মানব সমাজে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার জন্য হুমকি স্বরূপ।  ইসলামে বিয়েকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র চুক্তি হিসেবে দেখা হয়, এবং মানুষের জীবনে এটি সুস্থ সামাজিক ও নৈতিক জীবনযাপনের ভিত্তি। কুরআনে আল্লাহ বলেন_ "وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ" “আর তাঁর নিদর্শনসমূহের অন্যতম এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই যুগল সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।” — সূরা আর-রূম (30:21)  এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, বিয়ে কেবল যৌবনের একটি ধাপ নয়, বরং এটি সাকিনাহ (প্রশান্তি), মাওয়াদ্দাহ (ভালোবাসা) এবং রাহমাহ (দয়া) লাভের একটি উপায়, যা যেকোনো বয়সে প্রযোজ্য হতে পারে। বেশি বয়সে বিয়ে করলে কিছু ইতিবাচক ও কিছু নেতিবাচক প্রভাব থাকতে পারে — ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং পারিবারিক প্রেক্ষাপটে তার প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ দিক তুলে ধরা হলো:   ইতিবাচক দিক: মানসিক পরিপক্বতা: বেশি বয়সে মানুষ সাধারণত বেশি পরিণত হয়, যা সম্পর্ক পরিচালনায় সহায়ক হতে পারে। আর্থিক স্থিতিশীলতা: ক্যারিয়ার গঠনের পরে বিয়ে করলে দাম্পত্য জীবনে আর্থিক চাপ কম থাকে। সঙ্গী বেছে নেওয়ার সচেতনতা: বেশি সময় থাকায় মানুষ সচেতনভাবে সঠিক সঙ্গী বেছে নিতে পারে। নিজের চাহিদা ও সীমাবদ্ধতা বোঝা সহজ হয়: ফলে সম্পর্ক টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।  নেতিবাচক দিক: সন্তান জন্ম ও পালন নিয়ে জটিলতা: বেশি বয়সে নারীদের সন্তান ধারণে জটিলতা বাড়ে; পুরুষদের ক্ষেত্রেও জন্মদানে কিছু প্রভাব পড়তে পারে। সমাজের চাপ বা সমালোচনা: বিশেষত আমাদের উপমহাদেশে বয়স বেশি হলে সমাজের কিছু নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হতে হয়। সহজে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে: বয়স বাড়লে অনেক সময় নিজস্ব অভ্যাস বা চিন্তার গোঁড়ামি এসে যায়, যা সম্পর্ক টেকাতে সমস্যা করতে পারে। স্বাস্থ্যগত সমস্যা: বয়স বাড়ার সঙ্গে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে যা দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। বিয়ে করার সঠিক বয়স কোনটি হতে পারে? বিয়ের সঠিক বয়স একেকজনের জন্য একেকরকম হতে পারে। এটি নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, আর্থিক এবং সামাজিক প্রস্তুতির ওপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন একজন মানুষ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পরিপক্ক হয় এবং সম্পর্ক ও দায়িত্ব পালন করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে, তখনই বিয়ের উপযুক্ত সময়। ছেলেদের জন্য বিয়ের উপযুক্ত বয়স: সাধারণভাবে ছেলেদের জন্য ২১ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে বিয়ে করা যথাযথ মনে করা হয়, কারণ এই সময়ে তারা সাধারণত: মানসিকভাবে অধিক পরিপক্ব হয়ে ওঠে শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার গঠনে একটি স্থিতি অর্জন করে পরিবার ও ভবিষ্যৎ জীবনের আর্থিক দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত থাকে মেয়েদের জন্য বিয়ের উপযুক্ত বয়স:  সাধারণভাবে মেয়েদের জন্য ১৮ থেকে 20 বছরের মধ্যে বিয়ে করাকে উপযুক্ত ধরা হয়। এই বয়সে তারা সাধারণত: শারীরিকভাবে সন্তান ধারণের জন্য সক্ষম থাকে জীবনের দায়িত্ব ও সম্পর্কের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে শিক্ষা সম্পন্ন করার এবং কর্মজীবনে প্রবেশের প্রস্তুতি নিতে পারে বিয়ের জন্য সঠিক প্রস্তুতি, মানসিক পরিপক্বতা, এবং আন্তরিক ইচ্ছা থাকাই আসল। ইসলাম এবং বাস্তবতা দুই দিক থেকেই বোঝা যায়, বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক সিদ্ধান্ত, যা বয়সের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়্যত, দায়িত্ববোধ ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।