বিয়ে আপনার, দায়িত্ব আমাদের

Landing page down arrow
WhatsApp Logo

কিভাবে আপনি জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

  • tick markরেজিস্টার করুন নিজের বা পরিচিতজনের জন্য
  • tick markআপনার সকল তথ্য দিন
  • tick markসবগুলো ঘর ভালোভাবে পূরণ করুন
  • tick markকার্ড বা বিকাশে পে করুন
  • tick markপাত্র/পাত্রী খুঁজুন
  • tick markসম্পূর্ণ বায়োডাটা দেখার অনুরোধ করুন
  • tick markযোগাযোগের অনুরোধ করুন
  • tick markমেসেজ পাঠান
  • tick markদেখা করুন এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন

আমাদের সেবাসমূহ

Our-Services-icon-1-logo

সপ্তাহে ৭ দিন গ্রাহক সেবা

আমরা সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের সাথে আপনারা ইমেইল, ফোন অথবা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সকল সমস্যার সহজ এবং দ্রুত সমাধান করতে।

Our-Services-icon-2-logo

বিশেষ পরামর্শ

আমরা গ্রাহকদের আরও সুন্দরভাবে কিভাবে প্রোফাইলটি উপস্থাপন করতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকি। প্রিমিয়াম গ্রাহকদের চাহিদা সাপেক্ষে তাদের পছন্দের পাত্র বা পাত্রী খুঁজতে সাহায্য করে থাকি।

Our-Services-icon-3-logo

ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে সহযোগীতা

আমাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে গ্রাহক আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। যেকোনো ধরণের সমস্যা অথবা যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়ে থাকি। এছাড়াও আমরা ফেসবুক পেইজে কিছু পাত্র বা পাত্রীর নিজের সম্পর্কে কিছু কথা পোস্ট করে থাকি।

Our-Services-icon-4-logo

গোপনীয়তা ও বিশ্বস্ততার নিশ্চয়তা

আপনার অনুমতি ছাড়া ছবি, আসল নাম ও পূর্ণ প্রোফাইল কেউ দেখতে পারবে না। দুই ধাপে অনুমতি দেয়ার পরে গ্রাহক আপনার যোগাযোগের তথ্য পাবে। আমরা প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করি। আপনার অভিযোগ বা সন্দেহজনক তথ্য পেলে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেই।

আপনার প্ল্যান নির্বাচন করুন

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
প্রযোজ্য নয়
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
Cross icon
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
Cross icon
বায়োডাটা ডাউনলোড
Cross icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Cross icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Cross icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
১ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
২০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
৩ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
৫০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
৬ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
১০০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
* অফার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত চলবে

ব্লগ

বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী দেখার নিয়ম

blog-image-1
বিয়ে সবার জীবনে সবচাইতে আনন্দের বিষয়। এই আনন্দ আরো বেড়ে যায় যখন একে-অপরে সাথে দেখা সাক্ষাৎ পর্ব শুরু হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে একে অপরকে ভালভাবে দেখা নেওয়া ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ম।  বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী দেখার নিয়ম সম্পর্কে ইসলামঃ সাহাবা(রাঃ) এর বিয়ের ঘটনা অনেক রয়েছে। তারমধ্যে দুইটি হাদিস দিয়ে আমরা কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি।   যেমন, মুগিরা বিন শোবা (রা.) বলেন, ‘আমি এক নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। এটা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি তাকে দেখেছ?’ আমি বললাম, ‘না, দেখিনি।’ তখন তিনি বললেন, ‘তাকে দেখে নাও।’ তোমার এই দর্শন তোমাদের দাম্পত্য জীবনে প্রণয়-ভালোবাসা গভীর হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’ (তিরমিজি: ১০৮৭)  আরেক হাদিসে এসেছে, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোন নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে তখন সম্ভব হলে যেন তাঁর এমন কিছু দেখে নেয় যা তাকে বিয়ে করতে উৎসাহিত করে। এরপরে এই সাহাবী (রাঃ) বলেন, আমি একজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরে তাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা আমার অন্তরে গোপন ছিল। অতঃপর তাঁর মাঝে আমি এমন কিছু দেখি যা আমাকে তাকে বিয়ে করতে আগ্রহী করে তোলে। অতঃপর আমি তাকে বিয়ে করি। (সুনান আবু দাউদ ২০৮২) অর্থাৎ আপনি যাকে বিয়ে করতে চান তাকে ভালভাবে দেখে নেওয়া ইসলামে বৈধ। আমাদের সমাজে পাত্র তাঁর পছন্দের পাত্রীকে দেখতে পারে-এটা খুব স্বাভাবিক।  কিন্তু পাত্রী কি পাত্রকে দেখতে পারবে? বিয়ের ক্ষেত্রে যেমন পাত্র পাত্রীকে দেখতে পারবে ঠিক একইভাবে পাত্রীও পাত্রকে দেখে নিতে পারবে। কারণ এখানে উভয়ের মতামত এবং পছন্দের ব্যাপার রয়েছে। পাত্রীও নিজের পছন্দ অনুযায়ী পাত্রকে প্রস্তাব পাঠাতে পারবে, দেখতে পারবে। অতএব বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও বিয়ের জন্য পাত্র নির্বাচন করা, প্রস্তাব দেওয়া ইসলামে যায়েজ করা হয়েছে। আল-কুরআনুল কারীমে হজরত মুসা (আঃ) এর বিয়ের ঘটনা এসেছে।  সূরা কাসাস  (২৫-২৭ নং আয়াত) হতে বর্ণিত,  শুয়াইব (আঃ) (মতান্তরে তিনি অন্য কেউ ছিলেন) এর দুই মেয়ে পশুকে পানি করানোর জন্য কূপের নিকট এসেছিল। যেখান থেকে পানি তুলবে সেই কূপের একটু দূরে তারা অপেক্ষা করছিল। কূপের ঢাকনা তুলে পানি তুলতে হত বালতি দিয়ে। ঢাকনা ছিল অনেক ওজনের এবং তারা পানি তোলার জন্য অপেক্ষা করছিল। দূরে থেকে মুসা (আঃ) দেখতে পেলেন এবং নিজে তাদেরকে পানি তুলে দিলেন। বালিকা দুইজন বাড়িতে ফিরে তাদের পিতাকে এই উপকারের কথা জানালেন। পিতা সব শুনে তাদেরকে পাঠালেন মুসা (আঃ) কে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য। অতপর দুই বালিকার একজন লজ্জজড়িত পদক্ষেপে তাঁর কাছে আগমন করলো। বললো, আমার পিতা আপনাকে ডেকেছেন, যাতে আপনি যে আমাদের পশুকে পানি পান করিয়েছেন তার বিনিময় পুরস্কার প্রদান করেন। অতপর মুসা যখন তাঁর কাছে গেলেন এবং সব বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বললেন, ভয় করোনা। তুমি জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছ। (সূরা কাসাস, আয়াত নং২৫) এর পরে মুসা (আঃ) এর কিছু প্রশংসা গোপনে নিজের বাবার কাছে বর্ণনা করলেন ঐ দুই মেয়ে। যেমন,  قَالَتۡ اِحۡدٰىهُمَا یٰۤاَبَتِ اسۡتَاۡجِرۡهُ ۫ اِنَّ خَیۡرَ مَنِ اسۡتَاۡجَرۡتَ الۡقَوِیُّ الۡاَمِیۡنُ  “দুই বোনের একজন বললো, পিতা! তাকে চাকর নিযুক্ত করুন। কেননা, আপনার চাকর হিসাবে সে-ই-উত্তম হবে; যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত। (সূরা কাসাস, আয়াত নং ২৬) এখানে দুইটি গুণ মুসা (আঃ) এর যা একজন বোনের পছন্দ হয়েছিল। শক্তিশালী ও বিশ্বস্ততা। এখনও পাত্র নির্বাচনে এসব গুণাবলীকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। এরপরে শুরু হল বিয়ের প্রস্তাব বিনিময়। আল-কুরআন অনুযায়ী, قَالَ اِنِّیۡۤ اُرِیۡدُ اَنۡ اُنۡکِحَکَ اِحۡدَی ابۡنَتَیَّ ہٰتَیۡنِ عَلٰۤی اَنۡ تَاۡجُرَنِیۡ ثَمٰنِیَ حِجَجٍ ۚ فَاِنۡ اَتۡمَمۡتَ عَشۡرًا فَمِنۡ عِنۡدِکَ ۚ وَمَاۤ اُرِیۡدُ اَنۡ اَشُقَّ عَلَیۡکَ ؕ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰہُ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ “(বালিকার) পিতা মুসাকে বললেন, আমি আমার এই দুই কন্যার একজনকে তোমার সাথে বিয়ে দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার চাকরি করবে, যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর, তা তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে কস্ট দিতে চাইনা। আল্লাহর ইচ্ছার তুমি আমাকে সৎকর্মপরায়ণ পাবে।” (সূরা কাসাস, আয়াত নং ২৭) এভাবে মুসা (আঃ) এর সাথে শুয়াইব (আঃ) এর কন্যার সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়।  এখানে পাত্রী নিজে পাত্র সম্পর্কে ভাল গুণ তাঁর বাবাকে জানিয়ে ছিলেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নেননি। বাবা শুধু শুনেই বিয়ের আয়োজন করেননি; তাকে ডেকে এনে নিজে সরাসরি সব কথা শুনেছিলেন। তারপর নিজে আশ্বস্ত হয়ে কন্যার ইঙ্গিতকে বুঝতে পেরে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান করেন। এখানে বাবা পাত্রকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। তাই পাত্রী তাঁর পছন্দ বা মতামত অভিভাবককে জানাতে পারবেন কিন্তু সিদ্ধান্ত দিতে পারবেননা। সিদ্ধান্ত অভিভাবক নিবেন।  ভাল পাত্রের দুই গুণাবলী, শক্তিশালী ও বিশ্বস্ততা:  কন্যা সরাসরি বিয়ের কথা বলেননি। বলেছিলেন বাবার সহযোগিতা হতে পারে কারণ সে শক্তিশালী এবং বিশ্বস্ত। কূয়া থেকে পানি তোলা এবং তাদের দিকে না তাকানোর মানসিকতা থেকে এই দুই বোনের মনে এই ভাল ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল। কন্যাদ্বয়ের কথা শুনে পিতা এরকম যুবক ছেলেকে নিজের বাড়িতে চাকর না বানিয়ে বরং জামাই করে রাখাকে বেশি সঠিক সিদ্ধান্ত হবে মনে করে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। অতএব, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে খাদিজা (রাঃ) এর বিয়ে যেমন পাত্রী এর অভিভাবকের পক্ষ থেকে প্রস্তাব এবং মুসা(আঃ) এর বিয়ের ক্ষেত্রেও একইভাবে পাত্রী এর অভিভাবকের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে হয়েছিল। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র যেমন পাত্রীকে প্রস্তাব দিতে পারবে একইভাবে পাত্রী পক্ষের অভিভাবক পাত্রকে প্রস্তাব দিতে পারবে। পাত্র/ পাত্রীকে দেখার ব্যাপারে বিভিন্নভাবে দেখা যেতে পারে। যেমন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ যখন জানতে পারলেন যে, যার সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছে তাকে সরাসরি দেখা যাবে তখন তিনি এমনভাবে দেখলেন যা তাঁর মধ্যে ঐ মেয়ের প্রতি আরো আগ্রহ বাড়িয়ে দিল।  তবে বর্তমানে যেভাবে দেখা হয় পারিবারিকভাবে সেটাও ঠিক আছে কিন্তু মাহরাম বা গায়রে মাহরাম মেনে দেখতে হবে।  পাত্রী দেখার শর্তগুলি হলঃ এ সম্পর্কে হিদায়া ও আলমুগনী কিতাবে এসেছে, ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের আগে গাইরে মাহরামদের মধ্যে শুধু পাত্রই পাত্রীকে শর্ত সাপেক্ষে দেখতে পারবে - পাত্রী দেখার সময় পাত্র পক্ষের অন্য কোন পুরুষ যেমন, বাবা, ভাই, বন্ধুবান্ধব প্রমুখ কেউ পাত্রী দেখতে পারবে না। তাদের দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও কবিরা গুনাহ। পাত্রীর সাথে পাত্র কথা বলতে পারবে তবে শরীরে স্পর্শ করতে পারবেনা।  খবরাখবর নেওয়ার পরে বিয়ে করতে মনস্থির করলে পাত্রীকে দেখে নেওয়া উত্তম। তবে এভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে না দেখে অনানুষ্ঠানিকভাবে  দেখে নেওয়াই উত্তম। দেখার সময় পাত্রী হাত ও মুখ দেখা যেতে পারে। কাপড়ের উপর দিয়ে যদি শরীরের সামগ্রিক অবয়ব দেখে নেওয়া যায় তাহলে কোন অসুবিধা নেই। আর হ্যাঁ শুধু বিয়ের করার উদ্দেশ্যেই পাত্রীকে দেখতে পারবে অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয় (হিদায়াঃ ৪/৪৪৩ এবং আলমুগনিঃ ৭/৭৪)। পাত্রের পরিবারের নারীরা চাইলে পাত্রীকে দেখতে পারবে।  মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে বিয়ের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পাত্র/পাত্রী নির্ধারণের এবং দেখা সাক্ষাতের ফয়সালা করে দিন, সমাজে শান্তির ফয়সালা করে দিন। আমিন। 

তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা

blog-image-2
তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কিছু উপকারিতা আছে, তবে তা নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনযাত্রা, লক্ষ্য ও মানসিক প্রস্তুতির ওপর। অনেকেই দেরি করে বিয়ে করার পক্ষপাতী, কিন্তু ইসলামী দৃষ্টিকোণ, সামাজিক বাস্তবতা এবং মানসিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। আসুন জেনে নেই কিছু তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা এবং কেন দ্রুত বিয়ে করা জরুরি হতে পারে:  ইসলামে দ্রুত বিবাহ করার গুরুত্ব ইসলামে বলা হয়েছে, যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তাদের দ্রুত বিয়ে করা উচিত।  পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে: وَأَنكِحُوا۟ ٱلْأَيَـٰمَىٰ مِنكُمْ وَٱلصَّـٰلِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَآئِكُمْ ۚ إِن يَكُونُوا۟ فُقَرَآءَ يُغْنِهِمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ ۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيم ٣٢ "আর তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহযোগ্য, তাদের বিবাহ সম্পন্ন কর। যদি তারা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সম্পদশালী করবেন।" (সূরা আন-নূর, ৩২) রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন: "হে যুবকরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কারণ এটি দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং পবিত্রতা রক্ষা করে।" (সহিহ মুসলিম) নৈতিকতা ও শুদ্ধ জীবনযাপন বর্তমান সমাজে চারপাশে অনেক প্রলোভন ও অনৈতিক কার্যকলাপ রয়েছে। তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে একজন মানুষ তার জীবনকে সংযমী ও নৈতিকতার পথে পরিচালিত করতে পারে। ইসলামেও বলা হয়েছে, বিয়ে দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং অনৈতিক কাজ থেকে রক্ষা করে। সামাজিক স্থিতিশীলতা বিয়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি পারিবারিক দায়িত্ব নিতে শেখে, যা তাকে আরও পরিপক্ব ও দায়িত্বশীল করে তোলে। বিবাহিত ব্যক্তি সমাজে একটি স্থিতিশীল ভূমিকা পালন করে, যা সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। একটি পরিবার গঠিত হলে তা সমাজের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। পরিবারবিহীন সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিবাহিত ব্যক্তিরা সাধারণত দায়িত্বশীল এবং সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া, বিবাহিত জীবন সামাজিক সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাজকে আরও শক্তিশালী ও সুসংহত করে। তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে একজন ব্যক্তি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করতে শেখে, যা সামাজিক সুস্থিতির জন্য অপরিহার্য। পরিবার গঠন ও দায়িত্ব গ্রহণের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা কমে, পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধি পায় এবং পারিবারিক মূল্যবোধ সংরক্ষিত হয়। মানসিক ও আবেগিক সমর্থন জীবনের প্রতিটি ধাপে আমাদের মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য পাশে একজন বিশ্বস্ত জীবনসঙ্গীর প্রয়োজন হয়। তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে এই সমর্থন আগেই পাওয়া যায়, যা মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পরিবার ও সন্তান পালনের সুবিধা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে কম বয়সে সন্তান জন্ম দিলে মা-বাবা উভয়ের জন্যই এটি স্বাস্থ্যকর। অল্প বয়সে মা-বাবা শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয় ও স্বাস্থ্যবান থাকেন, যা সন্তান লালন-পালনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। এছাড়া, সন্তানের সঙ্গে বয়সের পার্থক্য কম থাকলে বাবা-মা তাদের ভালোভাবে গাইড করতে পারে, তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অধিকন্তু, কম বয়সে সন্তান জন্ম দিলে বাবা-মা তাদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য আরও সহজে রক্ষা করতে পারেন। ক্যারিয়ার ও জীবন পরিকল্পনা সহজ হয় অনেকে মনে করেন যে ক্যারিয়ারের জন্য দেরিতে বিয়ে করা উচিত, কিন্তু তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একজন তার ক্যারিয়ার ও পারিবারিক জীবনকে ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে পারেন। একজন বিবাহিত ব্যক্তি পারস্পরিক সমর্থন পেলে কর্মক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হতে পারেন। জীবনসঙ্গী মানসিক স্থিরতা বজায় রাখতে সাহায্য করেন, যা পেশাদার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাছাড়া, দাম্পত্য জীবনে দুইজন একসঙ্গে থাকলে আর্থিক পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনকে আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেন। এছাড়াও কিছু দিক আবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো হলো:  সম্পর্কের গভীরতা ও আবেগ ধরে রাখা যদি আপনি ৩০-এর পর বিয়ে করেন, তখন জীবনের বাস্তবতা এবং দায়িত্ববোধ আপনাকে বেশি গম্ভীর করে তুলতে পারে। এতে সম্পর্কের মাঝে সেই স্বতঃস্ফূর্ততা ও আবেগ কমে যেতে পারে। অল্প বয়সে বিয়ে করলে আবেগের প্রভাব বেশি থাকে, যা দাম্পত্য জীবনকে আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলে। একান্ত সময় কাটানোর সুযোগ বেশি বয়সে বিয়ে করলে সন্তান নেয়ার দায়িত্ব দ্রুত চলে আসে, ফলে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে কাটানোর সময় কমে যায়। কিন্তু তরুণ বয়সে বিয়ে করলে একে অপরকে জানার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়, যা সম্পর্ককে মজবুত ও মধুর করে তোলে। জীবনসঙ্গীর সাথে পথচলা সহজ হয় জীবনে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার জন্য একজন সঙ্গী থাকা সবসময়ই ভালো। দেরি না করে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারেন, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সন্তানের জন্য ভালো পিতা-মাতা হওয়ার সুযোগ আগে বিয়ে করলে সন্তান বড় করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। মানুষ এখন গড়ে কম বয়সেই মৃত্যুবরণ করে, তাই দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান বড় হওয়ার আগেই পিতামাতার বার্ধক্য নেমে আসতে পারে। আগেভাগে বিয়ে করে ফেললে বাবা-মা হিসেবে সন্তানের পাশে বেশি সময় থাকা সম্ভব হয়। সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ অল্প বয়সে বিয়ে করলে যদি কোনো কারণে সম্পর্ক টেকসই না হয়, তবে পুনরায় সম্পর্ক গুছিয়ে নেয়ার জন্য সময় থাকে। কিন্তু বেশি বয়সে বিয়ে করলে ডিভোর্সের পর নতুন করে জীবন শুরু করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। সামাজিক চাপ থেকে মুক্তি আগে বিয়ে করলে পরিবার ও সমাজের চাপ কমে যায়। ‘কবে বিয়ে করবে?’, ‘বয়স তো বাড়ছে!’—এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়না। ফলে নিজের জীবনকে স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে নেওয়া সহজ হয়। উপসংহার তাড়াতাড়ি বিয়ে করা মানেই হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া নয়, বরং এটি সঠিক সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সুখ নয়, বরং সামাজিক ও ধর্মীয় স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই, যদি আপনি মানসিক ও আর্থিকভাবে প্রস্তুত থাকেন, তবে তাড়াতাড়ি বিয়ের কথা বিবেচনা করাই ভালো।