আনোয়ার হোসেন এবং শায়লা হামিদ এর বিয়ে

আলহামদুলিল্লাহ্‌ বিয়েটার মাধ্যমে আনোয়ার হোসেন এবং শায়লা হামিদ দুই জনে বিয়ে হয়ছে। আজকে তাদের বিয়ে নিয়ে কথা বলবো।

আনোয়ার একজন আর্কিটেক্ট, বর্তমানে ডিজাইনার এবং কো-অর্ডিনেটর হিসাবে ফরেন বায়িং হাউজে কর্মরত আছেন। বাবা কানাডা থাকেন, মা একজন প্রফেসর। সবাই ব্যস্ত। তাই নিজেই নিজের বিয়ের জন্য লাইফ পার্টনার খুঁজতে শুরু করেছিলেন। 

আনোয়ার এর জন্ম  এবং বেড়ে উঠা সবকিছুই ঢাকাতেই। ঢাকার নামকরা কয়েকটা ম্যারেজ মিডিয়ার সাথে উনি যোগাযোগ করেছিলেন। তাদের নিয়ম কানুন ভাল লাগছিল, কিন্তু উনি বেশি সময় দিতে পারছিলেননা। কারণ চাকুরির কারণে ও অন্যান্য কাজের কারণে ব্যস্ত থাকতে হয়। সবশেষ একজন বন্ধুর পরামর্শে বিয়েটা ডট কমে রেজিস্ট্রেশন করলেন। কারণ বিয়েটাতে সবকিছুই নিজের হাতে এবং যেকোন জায়গা থেকে যখন খুশি অপারেট করা যায়। বিয়েটার এই সহজ এবং দ্রুত কার্যকরী নিয়ম কানুন তাঁর ভাল লাগতে শুরু করে।  

 

রেজিস্ট্রেশন করার সাথে সাথে তাঁর পছন্দের সাথে মিল রেখে তিনি অনেক প্রোফাইল দেখতে পেলেন। আরেকটি বিষয় বিয়েটা ডট কমের উনার কাছে ভাল লেগেছে যে, কেউ টাকা পেমেন্ট করার জন্য চাপ দেয়না বা জোর করে কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার কোন চেষ্টা নেই। আছে নিজের ইচ্ছাধীন পেমেন্ট করার ব্যবস্থা এবং পছন্দ অনুযায়ী যোগাযোগের ব্যবস্থা।

বিয়েটাতে বিয়ের গল্প

সেপ্টেম্বর-২০২০ সালে আনোয়ার রেজিস্ট্রেশন করেন বিয়েটা ডট কমে। এরপরে পাত্রী পক্ষ থেকে কয়েকটা অনুরোধ আসে। তিনি বুঝে শুনে কয়েকটি অনুরোধ গ্রহণ করেন এবং কথাবার্তা শুরু করেন। কিন্তু তেমন একটা আগ্রহ অনুভব করলেন না। অপেক্ষা করতে থাকেন প্রিয় মানুষটির জন্য।

 

ডিসেম্বর-২০২০ সালে উনি বিয়েটা ডট কম থেকে একটি প্ল্যান কিনে অনুরোধ পাঠানো শুরু করলেন।   

 

অন্যদিকে কাজী শায়লা হামিদ মৌ—তিনিও একজন মনের মত মানুষ খুঁজছিলেন বিয়ের জন্য। আর তাই বিয়েটা ডট কমে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এরপরে অনেকেই অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন উনাকে। কিন্তু মিল হচ্ছিল না। ডিসেম্বর-২০২০ সালের ৩০ তারিখে আনোয়ার এর কাছে থেকে অনুরোধ আসে। 

আনোয়ার এর শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, উচ্চতা, বয়স, পারিবারিক অবস্থা সবকিছুই মিলে যাচ্ছিল মৌ এর পছন্দের সাথে। মৌ তাই আনোয়ার হোসেন এর অনুরোধটি গ্রহণ করেন। এরপরে শুরু হয় কথাবার্তা। দুইজনেই ব্যস্ত অর্থাৎ চাকুরিজীবী, তাই ফোনে মাঝে মাঝে কথা হত কিন্তু দেখা হওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু দুইজনের কথা বার্তার মাধ্যমে ভাল বোঝাপড়া শুরু হয়ে গেল। এভাবে একে অপরের প্রতি ভালো লাগা এবং সম্মানবোধ সৃষ্টি হওয়াতে দুইজনেই সরাসরি দেখা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। 

 

ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্ট দুইজনের দেওয়া সময় অনুযায়ী দেখা করার ব্যবস্থা হল। যাইহোক, দুইজনের দেখা হলে পরস্পরের দেওয়া তথ্য আরো সঠিক প্রমানিত হল। এভাবে আর এক বার দেখা-সাক্ষাতের পরে পরস্পরের অভিভাবককে জানানো হলো। 

 

অভিভাবকরা আরো চিন্তা-ভাবনা করতে বললেন, খোঁজ-খবর নেওয়ার পরামর্শ দিলেন। সবশেষে, বিয়ের আয়োজন করা হল।

 

তাঁরা এখন বিবাহিত দম্পত্তি। সুখেই আছেন বলে জানিয়েছেন আমাদেরকে। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিয়ে হওয়াতে আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।  

 

আনোয়ারের বিয়েটা সম্পর্কে বক্তব্যঃ “I am thankful to Biyeta as I found my life partner through this site” 

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.