বিয়েটা-তে ইমরান আর নিশির বিয়ের গল্প

একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত আছি। ইমরান বলেই ডাকে সবাই। পুরো নাম ইমরান রাহমান। যেহেতু প্রাইভেট কোম্পানি’তে জব করি, তাই অন্য দিকে মনোযোগ খুব একটা দিতে পারি না। এদিকে বিয়ের বয়স তো হয়ে গেছে অনেক আগেই। বুঝতে পারছিলাম যে, আমার জন্য এখন বিয়ে করাটা জরুরী। ঘর, সংসার ছাড়া লাইফ হতে পারে না। পরিবার থেকে অনেক ভালো ভালো মেয়েদের বায়োডাটা দেখানো হচ্ছিলো আমাকে। কিন্তু মন থেকে সায় দিচ্ছিল না। আমি ছোট বেলা থেকেই নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দেই বেশী। জানিনা, হতে পারে এটা ঠিক নয়, আবার অনেকের মতে এটাই হয়তো ঠিক। ঠিক বেঠিক জানিনা, মন যেটাতে সায় না দেয় সেটা না করাটাই ভালো মনে করেছিলাম। বাবা, মা কে বলে দিলাম যে, আমি আমার নিজের পছন্দ মতো বিয়ে করবো। পছন্দ করবো, জানব, বুঝবো তারপর ডিসিশন নেবো। (‘’ঠিক আছে তাহলে তোমার পছন্দের মেয়ের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দাও, আমরা বিয়ের কথা ফাইনাল করি’’ ………… ‘বাবা, মায়ের কথা)। গেলাম তো তখন ফেঁসে। আমার তো এমন কেউ নাই, তাহলে এখন কি করবো? ফেসবুকে একদিন টাইমলাইনে দেখলাম বিয়েটা’র অ্যাড। দেখার জন্যই সাইটটাতে ঢুকি। এর পর রেজিস্ট্রেশন করে ফেলি। সাথে সাথেই দেখলাম অনেক পাত্রীদের লিস্ট। 

আমার আগ্রহ বেড়ে গেলো তখন। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দেই তখন। সেখান থেকে সব কিছু জেনে নেই। দেখলাম, কিছু মেয়েরা আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ পাঠাচ্ছে। 

আমি তখন প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ গ্রহণ করলাম। কয়েকজন পাত্রী নির্বাচন করলাম। নিশিও তার মধ্যে একজন। অপেক্ষা করতে লাগলাম, কখন এই পাত্রীরা আমার রিকোয়েস্ট গ্রহণ করবে, কখন তাদের সাথে আমি কন্টাক্ট করবো…… 

তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর দেখলাম কয়েকজন পাত্রী আমার অনুরোধ গ্রহণ করেছে। তবে নিশির সাথে কথা বলে আমার খুব ভালো লেগে যায় তাকে। খুবই সাবলীল ভাবে কথা বলে সে। সিধান্ত নেই দেখা করার। নিশিকে সেটা বলতেই সে রাজী হয়ে যায় দেখা করতে। দেখা হল আমাদের, কথা হল। এর পর বেশ কিছুদিন তার সম্পর্কে আমি জানার চেষ্টা করতে থাকি। প্রায় ১ মাস পর আমরা সিধান্ত নেই যে, আমাদের পরিবারকে জানাবো এবং বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবো। আমার পরিবার খুব সহজেই এটা গ্রহণ করেছিল। নিশির ক্ষেত্রেও তাই-ই। 

আসলে আমি মনে করি বাংলাদেশে এমন সাইট থাকা অনেক জরুরী। অনেক ধন্যবাদ বিয়েটা’কে। আলহামদুলিল্লাহ্‌ অনেক সুখের সংসার আমার।

 

শেয়ার করুন

2 thoughts on “বিয়েটা-তে ইমরান আর নিশির বিয়ের গল্প

    1. আপু আমারা প্রতিদিন রেজিস্ট্রেশন হওয়া প্রোফাইলগুলো ভেরিফাই করি। আমাদের কাছে ফেইক মনে হলে আমরা প্রোফাইলগুলো অফ করে দেই। জীবনে চলার প্রয়োজনে একে অন্যকে ভরসা করতে হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.