আমি সিনথি। আমি বিইউপি থেকে মাস্টার্স করেছি। আমি অনেক ধার্মিক একজন মেয়ে। ধার্মিকতা আমি পছন্দ করি এবং গুরুত্ব দেই। তাই চেয়েছিলাম জীবনে ধার্মিক একজন মানুষ। ফ্যামিলিগত কিছু কারনে আমার তালাক হয়ে গিয়েছিলো। সেই কারনটা চাইছি না শেয়ার করতে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটার দায় মেয়েদেরকেই কেনো যেন নিতে হয়। আসলে মেয়েরা দায় নেয় না, তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি।
আমার তখন মনে হলো, আমার জীবনের পছন্দ আপছন্দ কি আমি নিজে ঠিক করতে পারি না? আমি একজন শিক্ষিত মেয়ে, আমাকেও আল্লাহ্ ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন। তাই আমি ডিসিশন নিয়েছিলাম, যদি আবার বিয়ে করি তাহলে নিজেই পছন্দ করে বিয়ে করবো। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব? প্রেম, ভালোবাসা এসব করা অন্যায় এটা জেনে এসেছি পরিবার থেকে সেই ছোট বেলা থেকেই। ধর্মীয় নিষেধ আছে যে ব্যাপারে সে কাজ করা তো সম্ভব নয়।
আমার এক পরিচিত আপু ছিলেন, তিনি আমাকে বললেন এই ‘’বিয়েটা’’ সাইটের কথা। শুনে আমি খুবই খুশি হলাম। খুব উৎসুক হয়েই এখানে আইডি খুলে ফেলি। আইডি খোলার পর আমি সাথে সাথেই পেমেন্ট করি। কারন আমি চেয়েছি যে, খুব শীঘ্রই আমি আমার জীবনটাকে সাঁজাতে নতুন করে।
এরপর আমি কয়েকজন পাত্রের সাথে যোগাযোগ করি। আনোয়ার উল হক, তাকে আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। কিন্তু তিনি অবিবাহিত ছিলেন। আমি আমার পছন্দের তালিকায় বিপত্নীক এবং অবিবাহিত দুটোই রেখেছিলাম।
আনোয়ার উল হক সব জেনেই আমাকে বিয়ে করতে আগ্রহি হলেন। তিনিও খুব ধার্মিক একজন মানুষ। তার কথায় অনেক বিশ্বস্ততার ছোঁয়া ছিল যেটা আমি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। তিনি আমার অনুমতি নিয়ে তার পরিবারকে আমার কথা জানায়। আমি এদিকে আমার পরিবারের সাথে সব কথা শেয়ার করি।
আল্লাহ্র অশেষ কৃপায় আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা অনেক ভালো আছি। ‘’বিয়েটা’’কে অনেক ধন্যবাদ
আমাদের আরো বিয়ের গল্প পরতেঃ সফল বিয়ের গল্প