কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে অধিকাংশ বিয়ে হত পারিবারিক পছন্দের ভিত্তিতে। এলাকা ভিত্তিক ঘটক থাকত, যারা তাদের এলাকার প্রায় সব বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েদের খবর রাখতেন। নিজ উদ্যোগে চলে যেতেন পাত্র-পাত্রীর বাসায়। বিয়ে না দেয়া পর্যন্ত যেন তারা ক্ষান্ত হতেন না। এসময়ে বিয়ে বা পাত্র-পাত্রী খোঁজার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখতেন পাত্র-পাত্রীর আত্মীয়স্বজনেরাও। পরিচিতদের মধ্যে বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়ে দেখলে, তারাও যেন হয়ে উঠতেন শৌখিন ঘটক।
কিন্ত সেদিন আর নেই। সময়ের সাথে সাথে মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে। এখন প্রফেশনাল ঘটক আর নাই বললেই চলে। আর শৌখিন ঘটক? – সময় নেই কারও। এখন আর আগের মত প্রতিবেশীর সাথে কথা হয় না কারও। সবাই ব্যস্ত তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে, নিজেদের পরিবার নিয়ে। আর তাই এখন বিয়ের ধরনটাও বদলে গেছে অনেকটাই। এখন অনেক ক্ষেত্রেই ছেলে-মেয়েরা নিজেরাই খুঁজে নেয়, নিজেদের জীবনসঙ্গী। কেউ জীবনসঙ্গী খুঁজে নেয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আর কেউ বা খুঁজে নেয় ভার্সিটির কোন ক্লাসমেট বা অফিসের কলিগদের মধ্য থেকে। খুব অল্পদিনের জানাশোনা, অল্প একটু ভালোলাগা থেকেই বিয়ে হয়ে যায় এসবক্ষেত্রে। Read more about আধুনিক বিয়েতে “বিয়েটা” …