আমি এখন ছবি দিব না, পরে পছন্দ হলে ছবি দিব

বিয়েটা ডট কমের অনেক ইউজার আছেন যারা রেজিস্ট্রেশন এর সময় ছবি দেন না, আমরা ভেরিফাই এর সময় ছবি চাইলে -বেশির ভাগ মেয়েরা এই কথা বলেন, “আমি ছবি দিব না, পছন্দ হলে তারপরে ছবি দিব।” পছন্দ হলে ছবি দিব- এখন আমরা জানতে চাই কার পছন্দ হলে ছবি দিবেন? 

আপনার পছন্দ হলে ছবি দিবেন, কিন্তু অন্যজন কি আপনাকে আপনার ছবি না দেখেই আপনাকে পছন্দ করবে?

আপনি নিজেও কিন্তু পাত্র এর ছবি না দেখে তাকে পছন্দ করবেন না, তাহলে আপনাকে সেই পাত্র ছবি না দেখে কীভাবে পছন্দ করবে?

 

আপনি যতই শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অন্যান্য যোগ্যতাসম্পন্ন হননা কেন আপনার ছবি না দেখে সহজেই কেউ পছন্দ করতে চাইবেনা।

 

আপনি এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছেন বিয়ের জন্য, তাই অপর পক্ষের সামনে আপনাকে সুন্দরভাবে, আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। 

আপনার দেওয়া তথ্য, আপনার বিয়ে সম্পর্কে মন্তব্য, উচ্চতা, বয়স, পেশা, পড়াশুনা এবং ছবি- এগুলোর দ্বারা আপনার মনমানসিকতা ও আভিজাত্য অপর পক্ষ বুঝতে পারবে।

 

বিয়ের ক্ষেত্রে ছবি খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই ছবি দিন, আপনার প্রতি অপর পক্ষের আগ্রহ আসবে, আপনাকে অনুরোধ পাঠাবে বা আপনার পাঠান অনুরোধকে গুরুত্ব দিবে।

 

ফেসবুক বা বিভিন্ন মাধ্যমে মেয়েরা নিজেদের ছবি দেয় খুব সহজেই, অথচ সেখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষ থাকে, বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে মানুষজন রেজিস্ট্রেশন করে।

 

কিন্তু বিয়েটা ডট কমে যারা রেজিস্ট্রেশন করে তারা একমাত্র বিয়ের জন্যই এখানে রেজিস্ট্রেশন করে। আর বিয়ের উদ্দেশ্যে একে-অপরকে দেখা জায়েজ। বরং ভালোভাবে দেখা উচিত। এইজন্য আপনার ছবি কেউ দেখলে সেটা নাজায়েজ কিছু হবেনা। 

 

আর যদি অপেক্ষা করেন পরে ছবি দিবেন যার সাথে আপনার ম্যাচ হবে, তাহলে বলবো ম্যাচ কীভাবে হবে, ম্যাচ হবেনা, কারণ আপনাকে সে অনুরোধই পাঠাবে না, আর অনুরোধ না পাঠালে কীভাবে যোগাযোগ হবে?

 

বিয়ে একটি প্রতিযোগিতার মত। আপনার মত শত শত পাত্রী বিয়েটাতে রেজিস্ট্রেশন করেছে, তাদের সবাইকে পিছনে ফেলে নিজে পছন্দ ও যোগ্যতা সম্পন্ন পাত্র এর মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে, তার থেকে অনুরোধ পেতে হবে বা তাকে অনুরোধ পাঠিয়ে তার সাথে বিয়ে বসতে হবে।

 

একই কথা একজন পাত্র এর জন্যও। আপনাকেও শত শত পাত্র এর সাথে লড়াই করে নিজেকে ঐ সুন্দরী ও যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্রীর কাছে পৌঁছতে হবে।

 

তাই রেজিস্ট্রেশন এর সময় সব তথ্য সঠিক ও সুন্দরভাবে দিবেন, ছবি অবশ্যই দিবেন, বরং সবচাইতে সুন্দর ছবি দিবেন। 

মাছনা বা একাধিক স্ত্রীর পক্ষে ও বিপক্ষে

শহুরে উচ্চ শিক্ষিত/ অভিজাত পরিবারের পাশাপাশি  অল্প শিক্ষিত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত ছেলেরা এবং বয়স্করাও ইদানিং বিয়েটাতে পাত্রী খুঁজছেন : 

 

বিয়েটার অধিকাংশ প্রোফাইল উচ্চ মধ্যবিত্ব, উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের। তবে বর্তমানে বিয়েটার হেল্পলাইনে প্রচুর কল আসছে অল্প শিক্ষিত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পাত্রদের কাছে থেকে। 

ট্রাক ড্রাইভার, অটো CNG চালক, রাজমিস্ত্রি, মুদি দোকানদার, ফলমূল ব্যবসায়ী, অটো রিকশা চালক, সরকারি বা বেসরকারি অফিসের পিয়ন, গরু ব্যবসায়ী, মাছ ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস কর্মীসহ অনেক ভাইয়েরা। এরা প্রায় সবাই এসএসসি পাস, দশম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি বা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। আবার কেউ কেউ আছেন স্কুলে পড়া লেখাই করেনি। তবে এদের আছে সরাসরি বিদ্যা যা সমাজ, পরিবেশ থেকে পাওয়া। উনারা কথাবার্তায় স্মার্ট, মাশাআল্লাহ এবং সচেতন, স্বাবলম্বী। 

উনাদের বয়স ২০/২২ কারো ২৮/৩০ কারো ৩৫/৪০। বেশির ভাগ অবিবাহিত, তবে তালাকপ্রাপ্ত বা বিপত্নীকও রয়েছে। 

এইজন্য আপনি যদি তালাকপ্রাপ্ত হন, বিধবা হোন বা অবিবাহিতও হন রেজিস্ট্রেশন করুন।

 

এছাড়া কারো আরো বেশি যেমন ৫০/৬০ বছর, তারা বেশির ভাগ বিপত্নীক, সন্তান আছে বা নেই। এইরকম বয়সের পাত্রদের সাথে বিয়ের জন্য নিজেকে উপযুক্ত মনে হলে রেজিস্ট্রেশন করুন।

 

উনারা সহজ ও সরল মানুষ। নিজেদেরকে নিম্ন মধ্যবিত্ত বলে, নিজেদের মধ্যে বিনয়, অহংকার নেই। এছাড়া মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসা শিক্ষক, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, হাফেজ, মাওলানাসহ অনেকেই।

 

উনারাও বিয়েটা ডট কমে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছেন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.