বিয়ের জন্য বিনিয়োগ বা পেমেন্ট এর গুরুত্ব। আমরা অনেকেই পেমেন্ট করাকে গুরুত্ব দিতে চাই না, কারণ আমরা মনে করি আমি কেন আরেকজনকে পেমেন্ট করে অনুরোধ পাঠাবো। বরং আমাকে অনুরোধ পাঠাবে। এই আশা নিয়ে বসে থাকি। ফলে কিছু অনুরোধ আসে কিন্তু কখন, কার কাছে থেকে আসবে তার কোন ঠিক থাকে না। তাই বিয়ের জন্য বিনিয়োগ বা পেমেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সব চাইতে বেশি দেখা যায়। মেয়েরা মনে করে যে, আমি কেন একজন ছেলেকে অনুরোধ পাঠাবো, আমার কি লজ্জা নেই? মেয়ে হয়ে কিভাবে অনুরোধ পাঠাই।
আমরা আমাদের সাধারণ একটি প্রয়োজনেও কত সতর্কতা অবলম্বন করি, যাচাই বাছাই করি, আরো ভাল কিছু পাওয়ার আশায় সময়, অর্থ সবই ব্যয় করি। অথচ জীবনসঙ্গী খোঁজার ব্যাপারেও কি ঐ রকম গুরুত্ব দেই যেভাবে সাধারণ একটি প্রয়োজনে করে থাকি। জীবনসঙ্গী খোঁজার ব্যাপারে উদাসীন। তাই বিয়ের জন্য বিনিয়োগ বা পেমেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ।
জীবনসঙ্গী আসলে জীবনে কতটা গুরুত্বপুর্ন?
স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। শুরু হয় নতুন প্রজম্ম এবং আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। জীবনসঙ্গী যদি মনের মত না হয় তাহলে জীবনটা অর্থহীন হয়ে যায়। আর লাইফ পার্টনারকে খুঁজে পেতে যদি একটু বেশি চেস্টা না করে বসে থাকি তাহলে কি মনের মত মানুষ কি পাওয়া যাবে? প্রথমত মনে রাখতে হবে, বিনা চেষ্টায় ভাল কিছু পাওয়া যায় খুব কম। অনেকেই বলেন, ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। কিন্তু এই কথা বলে কেউ বসে থাকে না, বরং প্রাণপণে চেষ্টা করে। আর চেষ্টায় পরে যা পাওয়া যায় সেটাই ভাগ্য।
অর্থাৎ আপনি যেরকম চেষ্টা করবেন মহান আল্লাহ আপনাকে সেইরকম দিবেন। আর আপনি কতটুক চেষ্টা করবেন তিনি জানেন, তাই তিনি আপনার ভাগ্য লিখে রেখেছেন, হ্যাঁ ব্যতিক্রম হতে পারে- এটাও ভাগ্য।যদি আমরা চেষ্টা না করি অর্থাৎ প্ল্যান আপগ্রেড করে অনুরোধ না পাঠাই, তাহলে এমন জায়গা থেকে অনুরোধ আসবে যাকে আপনার পছন্দ হচ্ছে না। কারণ আপনি যাকে পছন্দ করছেন তাকে তো আপনি অনুরোধ পাঠান নি। আর যার কারনে আপনার পছন্দের মানুষের সাথে আপনার যোগাযোগ হচ্ছে না।
প্ল্যান আপগ্রেড করে অনুরোধ না পাঠানোর ক্ষেত্রে যেহেতু মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তাই মেয়েদের প্ল্যান আপগ্রেড করে অনুরোধ না পাঠানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি কারণ আমাদের কাছে মনে হয়েছে যেমন,
১। লজ্জা পাওয়াঃ
কিছু মেয়েরা মনে করে আমি মেয়ে হয়ে কিভাবে ছেলেকে অনুরোধ পাঠাই, ব্যাপারটা কেমন দেখায়। হ্যাঁ, এই লজ্জা ভাল জিনিস। তবে অনুরোধ ছেলেকে পাঠানো যাবে না- এই চিন্তা ভাবনা ঠিক নয়। বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েকে ছেলে প্রস্তাব পাঠাতে পারে- এটা ইসলামেও বৈধ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে খাদিজা (রাঃ) বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। আর যেহেতু আপনি বিয়ের জন্য বিয়েটা ডট কমে এসেছেন, তাই প্রস্তাব পাঠাতে কোন লজ্জা পাওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না। ছেলেরাও কিন্তু মেয়েদের থেকে অনুরোধ আশা করে, এক্ষেত্রের মেয়েদের বুদ্ধির পরিপক্বতা, ভালবাসা প্রকাশ পায়।
২। অর্থ খরচ না করতে চাওয়াঃ
পছন্দের মানুষকে খুঁজে পাওয়ার জন্য অর্থ খরচ করা কতটুক যৌক্তিক?
একটি ভাল জামা, কাপড় ইত্যাদির জন্য আমরা অর্থ ব্যয় করি? হ্যাঁ করি এবং খুব সহজে শর্তহীনভাবে অর্থ খরচ করি। তুলনামুলক ভাল জিনিসের জন্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাই, ভাল জিনিসের জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করতে একটুও দেরী করিনা। আমরা এই কথা জানি ভাল কিছু পেতে হলে অর্থ তুলনামুলক ভাল বা বেশি খরচ করতে হবে। তাহলে জীবন সঙ্গী বাছাই এর ব্যাপারে কেন নয়? আমাদের জীবনে সবচাইতে দামী জিনিসটির জন্য কেন কৃপণতা করছি। সামান্য কিছু অর্থ ব্যায়ের জন্য যখন ভাল লাইফ পার্টনার পাবো না, তখন আফসোস করবো, আহা ২ হাজার টাকা বা ৫ হাজার টাকা নয় আরো বেশি টাকা এই ক্ষেত্রে ব্যয় করা উচিৎ ছিল।
৩। গ্যারান্টি না পাওয়াঃ
অনেকেই পেমেন্ট করতে চান কিন্ত ভাবেন এখানে পেমেন্ট করলে কি নিশ্চয়তা আছে যে ভাল লাইফ পার্টনার পাবো। হ্যাঁ, কোন নিশ্চয়তা নেই কিন্তু আপনি যখন যথাযথ চেস্টা করবেন তখন এই সাইট থেকেই হোক আর পারিবারিকভাবেই হোক – ভাল কিছু আপনার চেষ্টা অনুসারে আসবেই। আমাদের অতীত বলে, যারা আন্তরিকতার সাথে চেস্টা করেছে তারা সফল হয়েছে, সময়, টাকা বেশি লাগলেও। কারণ আপনার চেস্টার মুল্যায়ন আর কেউ না করলেও মহান আল্লাহ ঠিকই করবেন, ভাল কিছুর ফয়সালা করে দিবেন।
৪। অল্পতেই হতাশ হয়ে যাওয়াঃ
না পেলাম না, আর মনে হয় পাবো না। ২/১ টা পেমেন্ট করেই এভাবে অনেকেই মন্তব্য করে থেমে যান, হতাশ হয়ে যান। আমাদের মনে রাখা উচিৎ চেষ্টা করাটা আমাদের দায়িত্ব। রেজাল্ট বা ফলাফল আমাদের হাতে নয়। তিনি আমাদেরকে দিবেন, যখন খুশি, যেভাবে খুশি দিবেন। তাই হতাশ না হয়ে পেমেন্ট করতে হবে, চেস্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
তাই পেমেন্ট করুন, লেগে থাকুন, বিয়েটা’র হেল্প নিন যতক্ষণ না আপনার পছন্দের পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পান। কারণ বিয়েটতে রয়েছে ১ লক্ষ ব্যবহারকারী যারা আপনার মত জীবনসঙ্গী খুঁজছেন।
-ধন্যবাদ