বিয়ের পূর্ব প্রস্তুতি- বিয়েটা’র সাজেশান বক্স থেকে
একটা ছেলে এবং একটা মেয়ের একসাথে হয়ে “আমাদের জীবন” শুরু করার সিদ্ধান্তটা বিয়ে থেকেই শুরু হয়। একসাথে থাকার জন্য মানসিক এবং পারিবারিক বাদ দিয়েও আরও অনেক কিছুই থাকে, যেগুলো ঠিকঠাক থাকা জরুরি। এই বাকি কিছুর মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছলতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের কাছে আর্থিক স্বচ্ছলতা বিয়ের সময়েই গুরুত্বপূর্ণ, আবার অনেকে একসাথে পাশে থেকে সাক্সেস দেখার জন্য আগ্রহী। একটা বিয়েতে স্বাভাবিকভাবে বর পক্ষের আর্থিক স্বচ্ছলতা অনেকটাই প্রকাশ পায় বিয়ের আরম্বরপূর্ন আয়োজনের মাধ্যেমে। বিয়ের জন্য কনে বা বর পক্ষের দিকের প্রস্তুতির সাথে এই আর্থিক অবস্থার একটা স্ট্যাবল প্রিপারেশনের কথা স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে।
ছেলেদের স্ট্যাব্লিশড হওয়ার সময়
আমাদের দেশে একটা ছেলের মোটামুটিভাবে ঠিকঠাকভাবে স্ট্যাব্লিশড হতে ২৬ বছর অতিক্রম হয়ে যায়। সে যদি ২৮ বা ৩০ বছরে বিয়ের চিন্তা বা প্ল্যান করে থাকে, এক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই উচিত হবে মোটামুটি ২/৩ বছর আগে থেকে নিজের দিকটা ঠিকঠাক করে রাখার।
বিয়ে নিয়ে অনেকের ছোট থেকেই স্বপ্ন থাকে, সে বড় হয়ে নিজেকে কোন পজিশানে দেখতে চায় এসব নিয়ে। সেই স্বপ্নের সিড়ির ধাপে ধাপে আগানোর শেষেই চলে আসে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে নেয়া। কনের পক্ষ থেকে অনেক সময় স্পেসিফিকভাবে কিছু চাহিদা থাকে বা এখন বরের পক্ষ থেকেও এটা দেখা যায়।
বিয়ের পর স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্ব
বিয়ে মানে যেহেতু একজন মেয়ের দায়িত্ব তার নিজের ফ্যামিলি থেকে নতুন একটা মানুষের উপর চলে আসা। তাই সেই মেয়েটির ভরণপোষণের কাজটা মেয়েটার জীবনে আসা নতুন মানুষের কর্তব্যের মধ্যেই চলে আসে। তাই পাত্র বা বরের পক্ষ বা ছেলে পক্ষের দিক থেকে এসব নিয়ে, স্পেশালি ছেলের উচিত এসব নিয়ে বিয়ের যথেষ্ট সময় আগেই চিন্তা করার।
আপনি নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে চাইছেন, বা নিয়ে যাচ্ছেন, এর উপরেই আপনার প্রজন্মের ভবিষ্যৎ আর আপনাদের “আমাদের জীবন” এর স্বচ্ছলতা অনেকাংশে নির্ভর করে।