বিয়ে হওয়ার লক্ষণ

বিয়ে হওয়ার লক্ষণ

 

বিয়ে হওয়ার জন্য আপ্রান চেস্টা করতে হবে, নিজের নিয়্যত ঠিক করতে হবে। নিয়্যত মানে আসলে কি চাচ্ছি, কেন চাচ্ছি। দুইপক্ষ একমত হলেই বিয়ে হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। বিয়ে বহু আকাংক্ষিত বিষয় সবার জীবনে। বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় পাত্র/পাত্রী উভয়ের মধ্যে এবং উভয়ের পরিবারে।

 

যে বিয়ে সম্পন্ন হবে সেই বিয়ের কিছু লক্ষণ বা আলামত নিচে দেওয়া হলঃ

 

১। উভয় পক্ষের একমত হওয়াঃ উভয় পক্ষ একমত হওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। যদি কোন বিয়ের আলোচনায় উভয় পক্ষ একমত হয় তখন বুঝতে হবে এই বিয়ে দ্রুত সম্পন্ন হবে। আর যদি উভয় পক্ষ একমত না হতে পারে তাহলে ঐ বিয়ে দেরীতে হবে অথবা বিয়ে হবেনা।

বর ও কনের একে অপরের পছন্দের পরেই আসে বর পক্ষ ও কনে পক্ষের পছন্দের বিষয়টি।

এক্ষেত্রে দেখা যায় বর পক্ষের মুরুব্বী হিসাবে বরের বাবা-মা বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তির মতামতই গুরুত্বপূর্ণ। তবে মুরুব্বীরা বর্তমানে বরের মতামতকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যেহেতু বরের পছন্দকে প্রাধান্য না দিলে বিয়ের পরে কোন সমস্যা হলে সমাধান করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। যেমন, বিয়ের পরে স্বামী স্ত্রী এক সাথে থাকতে গেলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। সেই সব সমস্যার সমাধান তারা নিজেরাই খুঁজে বের করবে, কারণ তাদের পছন্দেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে, অন্যথায় সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য মুরুব্বীদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেস্টা করবে। অন্যদিকে কনে পক্ষের ব্যাপারটিও প্রায় একই রকম। কনের মুরুব্বীরা দেখবে এই বিয়েতে তাদের কন্যার মতামত কেমন। কন্যা যদি রাজি হয়, আগ্রহ প্রকাশ করে তবে কন্যার মা-বাবা বা মুরুব্বীরা তেমন দ্বিমত পোষণ করেননা। এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন মুরুব্বীরা যা পছন্দ করেছেন তাদের উপরে বর বা কনেরা কোণ দ্বিমত করেননা, মুরুব্বীদের বিচক্ষণতার উপর নির্ভর করে।


 

২। দুই পক্ষের মধ্যে মিল মহব্বত বেড়ে যাওয়াঃ বিয়ের জন্য বর-পক্ষ ও কনে পক্ষের দেখা সাক্ষাতের পরে যে বিয়ে সম্পন্ন হবে দেখা যাবে সেখাবে দুই পক্ষের মধ্যে মিল মহব্বত বেড়ে যাবে। বরের আত্বীয় স্বজন ও কনে পক্ষের আত্বীয় স্বজনের মধ্যে মিল মহব্বত বেড়ে যাবে।

 

৩। অন্তরে আনন্দ ও শান্তি অনুভব করাঃ বিয়ে হল মহান আল্লাহর এক বিশেষ রহমত। তাই বিয়ে হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হল সবার অন্তরে আনন্দ ও ভাল ধারনা সৃষ্টি হওয়া। বর-কনের অন্তরে এক নতুন শিহরণ ঘটতে থাকে বিয়েকে কেন্দ্র করে। বিয়ের আলোচনা যখন শুরু হয় তখন থেকেই আসলে আনন্দ অনুভূতি শুরু হয়। বিয়ে যখন প্রায় ঠিক হয়ে যায় তখন এই আনন্দ থেকে আবেগের উতপত্তি হতে থাকে। বরের বাবা-মা গার্জিয়ানসহ অন্যান্য আত্বীয় স্বজনদের মধ্যে এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। তাইতো বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা যায় বিভিন্ন আনন্দ আয়োজন, পরস্পর ভালবাসা।

 

৪। স্বপ্নের মতন সবকিছু ঘটতে থাকাঃ বিয়ের জন্য অনেকে সবর করতে হয়। অনেক কস্ট ও সবরের বিনিময়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রচুর দেখা-শুনা, সময় ব্যয়, আলাপ-আলোচনা, মতামত ও মত বিনিময় চলতে থাকে। যখন বিয়ের প্রসংগ শুরু হয় তখন থেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অনেক অপছন্দনীয় বিষয়ের সম্মুখীন হতে হয়। এক পক্ষের পছন্দ হলে আরেক পক্ষের পছন্দ হয়না। পছন্দমত বর পাওয়া গেলে, গার্জিয়ান পছন্দ হয়না। গার্জিয়ানের পছন্দ হলেও অন্য কারো দ্বিমত হয়। এসব কারণে বিয়ের জন্য অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু যে বিয়েটি সম্পন্ন হবে সেটা ঘটে যাবে স্বপ্নের মতন। যেমন হঠাৎ এক বিকালে বর-পক্ষ কনে পক্ষের দেখা-সাক্ষাত হল। এরপরে উভয়ের সম্মতি নিয়ে মুরুব্বীরাও বিয়েতে একমত হয়ে গেল। শুরু হল দিন তারিখ নির্ধারণের পালা। দিন তারিখ নির্ধারনের পরে প্রস্তুতি অর্থাৎ বিয়ের আয়োজন ও অপেক্ষার পালা। 

দিন যতই ঘনিয়ে আসে আবেগ আর অনুভূতি যেন প্রবল হতে থাকে।

বিয়ের দিন যেন স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিন। প্রচুর আনন্দ, প্রচুর লোক সমাগম ও সর্বচ্চ সুখানুভূতি।

divorce marriage

৫। ইস্তেখারার ফলাফল দেখতে পাওয়াঃ বিয়ের জন্য আপনি এতদিন যে ইস্তেখারা করছিলেন, মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলেন তার ফলাফল দেখতে পারবেন। নিজের সামনে আপনার কল্পনায় থাকা অনেক কিছুই মিলে যাবে। আপনি দেখবেন যারা এতদিন বিয়ের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখায়নি তারাও এগিয়ে আসবে বিয়েতে সহযোগিতা করার জন্য। সবমিলিয়ে চোখের পলকে একটার পরে আরেকটা স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেখবেন। 

বিয়ে ঠিক হলে কেমন লাগে; আপনি বিবাহিত হলে অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন কমেন্সে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.