আপনার পার্টনারকে চেনা কতটা জরুরী?
বিয়ের আগে পারিবারিকভাবে পাত্র-পক্ষ বা পাত্রী-পক্ষ পরিবার থেকে তাদের দু’জনকে একটা টাইম দেয়া হয় স্বাভাবিক ভাবে, যাতে তারা একজন আরেকজন সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে বা বুঝতে পারে। বিয়েটা এমন একটা বিষয় যেখানে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের জীবনের সাথে সারাজীবনের জন্য বেধে যায়। সারাজীবন একই ছাদের তলায় বাস করা বা একই সাথে সংসার করার জন্য একজন আরেকজনকে বুঝতে বা চিনতে পারার একটা বিষয় থাকে যেটা অনেক বেশী ইম্পর্টেন্ট। এই বোঝাপরার উপরেই পরবর্তীর পথ চলা কতটা স্মুথ হবে বা কতটা সুখী হবে তা ডিপেন্ড করে।
“একটা ভুল সারাজীবনের কান্না” –
কথাটা আমরা কম-বেশি সবাই শুনে অভ্যস্ত। বিয়েতে একজন আরেকজনকে চিনে নেয়া বা বুঝতে পারা ঠিক তেমনই একটা সিদ্ধান্ত, যেখানে ভুল করলে সারাজীবনই এর ঘানি পোহাতে হয়। এখানে ভুল হয় সাধারনত তারাহুরা করতে গিয়ে। ফ্যামিলির পক্ষ থেকে তাড়াতাড়ি করে ফেলার একটা চাপ থাকে, এই চাপে তাড়াহুরা করতে গিয়ে ছেলেও মেয়েকে বুঝতে পারার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না, মেয়েও পায় না।
যদিও দুই ফ্যামিলির দিক থেকেই পারস্পরিকভাবে যতটা পারা যায় খোজ-খবর নেয়ার চেষ্টার কোনো কমতি রাখা হয় না। এরপরেও, সংসার যেহেতু সেই দুজনকেই করতে হবে, তাই তাদের দুজনের মধ্যে ডিস্কাস করে নেয়া বা বোঝাপড়া করে নেয়া খুব জরুরী।
কোথায় ঘুরতে পছন্দ বা কি টাইপ খাবার পছন্দ বা অবসরে কি করতে পছন্দ অথবা আর্লি রাইজার কিনা, এসব প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবে শুনতে খুব সিম্পল মনে হলেও, এগুলো দিয়েও আপনি আপনার ফিউচার পার্টনার সম্পর্কে আইডিয়া করতে পারেন। মানুষ চেনা যেহেতু এতোটা সহজ কাজ না, এবং অনেকদিন একসাথে সংসারের পরেও অনেকে একজন আরেকজনকে চিনতে পারেন না। কিন্তু, চেষ্টা করতে তো সমস্যা নেই। আপনি যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, তার সম্পর্কে যদি আইডিয়াই না থাকলো, তাহলে এর মাশুল আপনার জন্যই অপেক্ষা করবে।
তাই, বিয়ের আগে যথেষ্ট সময় নিয়ে একজন আরেকজনকে যতটুক সম্ভব বোঝার চেষ্টা করুন।