বিয়ে আপনার, দায়িত্ব আমাদের

Landing page down arrow
WhatsApp Logo

কিভাবে আপনি জীবনসঙ্গী খুঁজবেন?

  • tick markরেজিস্টার করুন নিজের বা পরিচিতজনের জন্য
  • tick markআপনার সকল তথ্য দিন
  • tick markসবগুলো ঘর ভালোভাবে পূরণ করুন
  • tick markকার্ড বা বিকাশে পে করুন
  • tick markপাত্র/পাত্রী খুঁজুন
  • tick markসম্পূর্ণ বায়োডাটা দেখার অনুরোধ করুন
  • tick markযোগাযোগের অনুরোধ করুন
  • tick markমেসেজ পাঠান
  • tick markদেখা করুন এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন

আমাদের সেবাসমূহ

Our-Services-icon-1-logo

সপ্তাহে ৭ দিন গ্রাহক সেবা

আমরা সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত গ্রাহক সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের সাথে আপনারা ইমেইল, ফোন অথবা ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি সকল সমস্যার সহজ এবং দ্রুত সমাধান করতে।

Our-Services-icon-2-logo

বিশেষ পরামর্শ

আমরা গ্রাহকদের আরও সুন্দরভাবে কিভাবে প্রোফাইলটি উপস্থাপন করতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকি। প্রিমিয়াম গ্রাহকদের চাহিদা সাপেক্ষে তাদের পছন্দের পাত্র বা পাত্রী খুঁজতে সাহায্য করে থাকি।

Our-Services-icon-3-logo

ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে সহযোগীতা

আমাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে গ্রাহক আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। যেকোনো ধরণের সমস্যা অথবা যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়ে থাকি। এছাড়াও আমরা ফেসবুক পেইজে কিছু পাত্র বা পাত্রীর নিজের সম্পর্কে কিছু কথা পোস্ট করে থাকি।

Our-Services-icon-4-logo

গোপনীয়তা ও বিশ্বস্ততার নিশ্চয়তা

আপনার অনুমতি ছাড়া ছবি, আসল নাম ও পূর্ণ প্রোফাইল কেউ দেখতে পারবে না। দুই ধাপে অনুমতি দেয়ার পরে গ্রাহক আপনার যোগাযোগের তথ্য পাবে। আমরা প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করি। আপনার অভিযোগ বা সন্দেহজনক তথ্য পেলে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেই।

আপনার প্ল্যান নির্বাচন করুন

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
প্রযোজ্য নয়
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
Cross icon
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
Cross icon
বায়োডাটা ডাউনলোড
Cross icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Cross icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Cross icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
২ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
২৫
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
৬ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
৬০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

সুবিধাসমূহ

মেয়াদ
৯ মাস
শর্ট প্রোফাইল দেখুন
Tick icon
বায়োডাটার অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ
Tick icon
যোগাযোগের অনুরোধ প্রেরণ
১০০
বায়োডাটার অনুরোধ প্রেরণ
ইচ্ছেমতো
বায়োডাটা ডাউনলোড
Tick icon
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন
Tick icon
বিশেষজ্ঞ সেবা (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon
সুপারিশ (চাহিদা সাপেক্ষে)
Tick icon

ব্লগ

স্ত্রী শুধু শারীরিক চাহিদা নয়; বরং পূর্ণ জীবন গড়ার বিশ্বস্ত বন্ধু

blog-image-1
আপনার জীবনে যত বন্ধ আছে, যত সহকারী, সাহায্যকারী আছে স্ত্রী তাঁর মধ্যে সর্বত্তম বন্ধু।  Best friend, best helpful person, best person to build up your life. বেশিরভাগ ছেলেরাই মনে করেন যে, শারীরিক চাহিদা মেটানো ও গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য স্ত্রী প্রয়োজন। কথাটি সত্য এবং এটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। তবে এছাড়াও স্ত্রী দ্বারা আপনি এত বেশি উপকার পাবেন যা অন্য কারো দ্বারা সম্ভব নয়। স্ত্রী শুধু শারীরিক চাহিদা নয়; বরং পূর্ণ জীবন গড়ার বিশ্বস্ত বন্ধু।  অবাক হচ্ছেন, এটাই সত্য। হ্যাঁ তারপরেও বিয়ের পরে ঝগড়া হবে, মারামারি হবে, ভরণ পোষণ দিতে হবে, সারা জীবন এই যুদ্ধ চলবে। কখনও আনন্দ, কখনও রাগ-অভিমান। কখন হাসি, কখনও কান্না। কখনও চরম সফল মনে হবে, কখনও ব্যর্থ মনে হবে ইত্যাদি।  কিন্তু আপনার পাশে স্ত্রী আছে মানে আপনি সফলতার রাস্তায় হাঁটছেন, ইনশাআল্লাহ একদিন সফল হবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই।    তাই স্ত্রী শুধু শারীরিক চাহিদা নয়; বরং পূর্ণ জীবন গড়ার বিশ্বস্ত বন্ধু এই নিয়ে  বাস্তব জীবনে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া স্ত্রীর কিছু ইতিবাচক দিক- ১। স্ত্রীর মতন শারীরিক চাহিদার পূর্ণ আনন্দ আর কেউ দিতে পারবেনাঃ আপনার প্রথম মনোভাব যদি হয় যে স্ত্রী দ্বারা শুধু শারীরিক চাহিদা মেটানো হয়। তাহলে মনে রাখবেন স্ত্রীর মাধ্যমে যে আনন্দ, তৃপ্তি পাওয়া যায় পৃথিবীর অন্য কোন নারী দ্বারা এত আনন্দ কোনদিনও সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ প্রদত্ত আনন্দ, শান্তি রয়েছে স্ত্রীর মধ্যে স্বামীর জন্য।  ২। মানসিক প্রশান্তিঃ বিবাহিত ব্যক্তিদের আরেক পাওয়া হল মানসিক প্রশান্তি। শারীরিক তৃপ্তির পাশাপাশি বিবাহিত ব্যক্তিদের জন্য থাকে মানসিক প্রশান্তি। ৩। আপনার প্রয়োজনে সর্বক্ষণ পাশে থাকা ব্যক্তি আপনার স্ত্রীঃ হ্যাঁ, মা-বাবা অবশ্যই দুনিয়াতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত। কিন্তু এই মা-বাবাও এত পাশে, এত কাছে, এত সময় থাকতে পারেনা যতটা স্ত্রী আপনার পাশে থাকে, থাকতে পারে বা থাকা সম্ভব। ৪। স্ত্রী আপনার পারসোনাল ডাক্তারঃ আপনার যত ধরনের অসুখ-বিসুখ আছে স্ত্রী জানবে, লুকানো যাবেনা, যায়না।  স্ত্রীর পরামর্শে চললে, তাঁর সাথে ভাল সম্পর্ক রাখলে এর চাইতে ভাল পারসোনাল ডাক্তার আর পাবেননা। তবে এই ডাক্তারকে রাগালে দুনিয়ার কোন ডাক্তারই আপনাকে সুস্থ করতে পারবেনা।  ৫। স্ত্রী আপনার পারমানেন্ট ব্যক্তিগত সহকারীঃ আপনার ব্যক্তিগত সহকারী হলেন আপনার স্ত্রী। আপনার অফিস, আপনার ব্যাংক, আপনার লেন-দেন, অর্থ সম্পদের, কার সাথে কি সমস্যা চলছে, কখন কি করতে হবে ইত্যাদি এই পার্মানেন্ট ব্যক্তিগত সহকারী করে দিবে এবং বলে দিবে। আপনি শুধু একে খুশিতে রাখবেন, অসম্মান করবেননা। বেতন লাগবেনা। বরং মাঝে মাঝে আপনাকে হোটেলে না খাওয়াতে পারলেও বাসায় উন্নত মানের বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াবে।  ৬। সারা জীবনের গৃহিণীঃ স্ত্রী আপনাকে সারা জীবন রান্না করে খাওয়াবে। কখনও বেতন চাইবেনা, চায়না। সে আপনাকে খাওয়াতে পারলেই খুশি, আপনি শুধু তাঁর প্রতি মানবিক হবেন, দয়ালু হবেন।  ৭। আপনাকে সন্তান দাতাঃ স্ত্রী ব্যতিত কেউ আপনাকে এই উপহার অর্থাৎ সন্তান দিতে পারবেনা। এটা শুধু আপনার স্ত্রীর দ্বারাই সম্ভব। ৮। আপনার সন্তানের পার্মানেন্ট রক্ষণাবেক্ষণকারি, সারাজীবনের স্নেহময়ী মা:  আপনার সন্তানের লালন-পালনের জন্য স্ত্রীই যথেষ্ট, আপনি শুধু স্ত্রী ছাড়া পরনারীর দিকে নজর দিবেন না। নজর অন্য দিকে গেলে সব হারাবেন।  ৯। আপনার পিতা-মাতারও সহযোগীঃ আপনার পিতা-মাতার প্রতিও আপনার স্ত্রী সামর্থ্যনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পিতা-মাতার ভরন পোষণের, দেখভালের দায়িত্ব আপনার অর্থাৎ স্বামীর, স্ত্রীর নয়- ব্যপারটি ভুলে গেলে চলবেনা। ১০। ফ্রি পরামর্শ দাতাঃ কেউ কাউকে পরামর্শ দিলেও অর্থ লাগে। যেমন আপনি ডাক্তারের কাছে গেলেন, ডাক্তার কিছু পরামর্শ দিল- টাকা লাগবে, উকিলের কাছে গেলে টাকা লাগে। কিন্তু স্ত্রী আপনাকে সারা জীবন পরামর্শ দিবে কোন টাকা লাগবেনা। দেওয়া উচিত কিন্তু কেউ দেয়না, কেন দেয়না জানিনা, ফ্রি পরামর্শতো, তাই অনেক সময় একে কেউ গুরুত্বও দেয়না। অথচ দুনিয়ার বেশির ভাগ সফল ব্যক্তিরাই স্ত্রীর পরামর্শে চলতেন, তাদের কথাকে গুরুত্ব দিতেন।  ১১। দ্বীন পালনে সহযোগীঃ আপনার নামাজের জন্য অজু, গোছল, পাক-পবিত্র পোশাক এছাড়া অন্যান্য দ্বীনের সকল হুকুম আহকাম পালনে স্ত্রী আপনাকে সহযোগিতা করবেন। দ্বীন পালন আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।  ১২। ব্যবসায়ী বা চাকুরী কাজে সহযোগীঃ আপনি যে পেশার লোকই হন না কেন, স্ত্রী আপনাকে সহযগিতা করবে। বিয়ের পরে থেকেই দেখবেন আপনার সময়ে বরকত হওয়া শুরু হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে, ভাল ঘুম হবে যা আপনার পেশাগত সকল কাজে সহযোগিতার কারণ হবে। ১৩। আপনার পছন্দনুযায়ী পোশাক গুছিয়ে দেওয়াঃ স্ত্রী দেখবেন প্রতিদিন আপনার পছন্দনুযায়ী পোশাক গুছিয়ে রেখেছে, এই নিয়ে আপনাকে তেমন আর মাথা খাটাতে হচ্ছেনা, আপনি শুধু এই বসকে চেতাবেননা, কিছু দেন বা না দেন প্রশংসা করতে ভুলবেননা। স্ত্রীকে প্রশংসা করলে যা পাবেন, সেটা আপনি চিন্তাও করতে পারবেননা। তবে প্রশংসা না করে যদি বেশি ভুল ধরেন, তাহলে আপনার ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবেনা। না মানে না- সাবধান।  ১৪। আপনার পছন্দনুযায়ী খাবার পরিবেশনকারীঃ বিয়ের পরে স্ত্রী খুব দ্রুত আপনার খাদ্য অভ্যাস জানতে পারবে। এরপরে দেখবেন শুধু খাবারের বাহার। ১৫। আপনার ঘরের পার্মানেন্ট বিশ্বস্ত পাহারাদারঃ আপনার ঘরে আর কোন পাহারাদার লাগবেনা। স্ত্রী আপনার বিশ্বস্ত সংগী। বিয়ে করুন এবং নিশ্চিন্তে ঘুমান, আর সম্পদ হারানোর ভয় মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। ১৬। বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর আত্বীয়দের দ্বারা আপনার সহযোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবেঃ বিয়ের আগে যদি আপনার বন্ধু, আত্বীয় স্বজন ৭০/৮০ জন হয়। বিয়ের পরে এই সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি আপনার পাশে ফ্রিতেই আরো কিছু মানুষ পেয়ে গেলেন যাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আপনি উপকৃত হবেন।  ১৭। শান্তি ও সফলতার অন্যতম মাধ্যমঃ কথায় আছে, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির সফলতার পিছনে একজন নারীর সহযোগিতা থাকে। এই সহযোগী আপনার মা হতে পারেন, বোন হতে পারেন, বান্ধবীও হতে পারেন। তবে স্ত্রীর সাহায্য ও পরামর্শে সফল হয়েছে এই সংখ্যাই সবচাইতে বেশি। এখনও বিয়ে করতে দেরি করছেন? বিয়েটা কেন তাহলে সৃষ্টি হল? বিয়েটা সৃষ্টি হয়েছে ২০১৪ সালে আপনার বিয়ের কাজটিকে সহজ করে দেওয়ার জন্য। আপনি ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করুন, ১০/১৫ মিনিট লাগবে। প্ল্যান কিনতে পারসোনাল বিকাশ থেকে 01755690000 নাম্বারে পেমেন্ট করতে ৩/৪ মিনিট লাগবে। তবে পারসোনাল বিকাশ থেকে পেমেন্ট করবেন, সেন্ড মানি বা ক্যাশ আউট হবেনা।  পছন্দনুযায়ী সার্চ দিতে ১০/১২ মিনিট লাগবে। অনুরোধ পাঠাতে পারবেন আপগ্রেড হলেই।  আপগ্রেড হলেই পুরো বায়ো-ডাটা দেখার অনুরোধ পাঠাতে পারবেন পাত্রী পক্ষকে। পাত্রীপক্ষ চিন্তা-ভাবনা করতে একটু সময় নিতে পারে, পছন্দ হলে সাথে সাথে অনুরোধ গ্রহণ করবে। এরপরে যোগাযোগের অনুরোধ পাঠাবেন, যোগাযোগের অনুরোধের রেজাল্ট পেতে অপেক্ষা করতে হবে সর্বোচ্চ ৭ দিন। এরপরে যোগাযোগের অনুরোধ গ্রহণ করলে নাম্বার পাবেন, শুরু হবে কথা বলা। উভয়ের পছন্দ হলেই অভিভাবক বা বাবা-মাকে জানাবেন। ধরে নিলাম আরো ৭ দিন। অর্থাৎ বিয়েটাতে বিয়ের জন্য সিরিয়াস হলে বিয়ে করতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১ মাস। এছাড়া প্ল্যাটিনাম প্যান নিলে পাবেন অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন সার্ভিস। প্ল্যাটিনাম প্ল্যান কিনলে আপনার বিয়ের কাজ চলবে রকেটের গতিতে ইনশাআল্লাহ। সিদ্ধান্ত আপনার?  রকেট নাকি প্লেন? প্লেন নাকি রকেট? রকেট হল প্ল্যাটিনাম প্ল্যান যার মূল্য ৭৯৯৫ টাকা, সিলভার এবং গোল্ড প্ল্যান হল প্লেন। সিল্ভার ২০০০ টাকা, গোল্ড-৪৯৯৫ টাকা। না-বাবা আমার এত টাকা নাই, তাহলে বিয়েটাও নাই, বিয়েরও দরকার নাই। কারণ, এই টাকাকে যদি বেশি মনে হয় বিয়ের পরেতো আরো টাকা লাগবে, সেটা চলবে কিভাবে?   

বিয়ে করার সহজ উপায়

blog-image-2
বিয়ে দিন দিন জটিল হচ্ছে, সহজে আর বিয়ে হচ্ছেনা। বিয়ে কিভাবে সহজে করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। কিছু আইডিয়া জানা থাকলে খুব সহজেই আপনি বিয়ে করতে পারবেন। বিয়েটা ডট কম রয়েছে আপনার পাশে। রেজিস্ট্রেশন করলেই শত শত পাত্র/পাত্রীর প্রোফাইল আপনি দেখতে পারবেন। তারপরে প্ল্যান কিনে যাদেরকে পছন্দ অনুরোধ/প্রস্তাব পাঠান শুরু করবেন। সময় নেওয়া, প্ল্যান আপগ্রেড করা, বিয়েটার হেল্পলাইনের হেল্প নেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি সহজে বিয়ে করতে পারবেন।  বিয়ে করার সহজ উপায় সম্পর্কে কিছু আইডিয়াঃ  ১। চাহিদাকে সীমিত করাঃ পাত্র হোক আর পাত্রীই হোক বেশি চাহিদার কারণেই বিয়ে সহজ হচ্ছেনা। যেমন, পাত্ররা চায় অনেক সুন্দরী লম্বা, শিক্ষিত আবার ভদ্র মেয়ে। কেউ কেউ এসবের সাথে চাকুরিজীবী পাত্রীও আশা করেন কিন্তু বয়স বেশি হওয়া যাবেনা এবং পারিবারিক অবস্থা ভাল হতে হবে ইত্যাদি। পাত্রীরা আশা করেন পাত্র আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী, লম্বা, উচ্চ শিক্ষিত ও ভাল মনমানসিকতার হতে হবে। এভাবে আমাদের চাহিদাগুলো এত ব্যপক যা এক পক্ষে পূর্ণ করতে পারলেও আরেক পক্ষ তা পূরণ করতে পারেনা, ফলে বিয়ে হয়না। তাই এক্ষেত্রে নিজের চাহিদাকে সীমিত করতে হবে। সবকিছু সম্পর্ণ পছন্দুযায়ী মিলবেনা-এটাকে মেনে নিতে হবে। যদি মেনে নেওয়া যায় তাহলে বিয়ে সহজ হবে।               ২। বয়সকে খুব বেশি প্রাধান্য না দেওয়াঃ বয়সের অসমাঞ্জস্য বিয়ে না হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। পাত্ররা আশা করে তাঁর স্ত্রী তাঁর চাইতে ৪/৫ বছরের ছোট হতে হবে। আবার পাত্রীরা আশা করে অবশ্যই পাত্রকে তাঁর চাইতে বয়সে বড় হতে হবে, সমান বয়সী বা ছোট হওয়া যাবেনা। কিন্তু দুনিয়াতে বহু সফল বিয়ের গল্প রয়েছে যেখানে বয়সের বিরাট পার্থক্য ছিল। তাই যদি পছন্দ হয়ে যায়, বয়সের কথা ভুলে যেতে হবে। হতে পারে পাত্রী আপনার বড় বা অনেক ছোট কিন্তু চেহারা পছন্দ, উচ্চতা পছন্দ- তাহলে এই একটি বিষয়ের কারণে কেন বিয়ে হবেনা। যদি এই বিষয়কে প্রাধান্য না দেওয়া হয় তাহলে সহজেই বিয়ে হবে। ৩। উচ্চতা নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়া যাবেনাঃ পাত্ররা কখনই নিজের চাইতে বেশি উচ্চতার পাত্রী বিয়ে করতে চাননা। একইভাবে পাত্রীরাও একই চাহিদা, পাত্রকে তাঁর চাইতে লম্বা হতেই হবে। কিন্তু বেশি উচ্চতার মেয়ে বিয়ে করলেই যে আপনি হেরে যাবেন বা কম উচ্চতার ছেলেকে বিয়ে করলে আপনি সফল হবেননা-এই ধারনা ভুল। যদি অন্যান্য সবকিছু মিলে যায় তাহলে এই উচ্চতা নিয়ে বেশি চিন্তিত হবেননা।  ৪। সৌন্দর্য্যঃ সবকিছু মিলে গেলেও, মেনে নিলেও এখানে কোন ছাড় নেই। সুন্দরী হতেই হবে। পাত্র-পাত্রী উভয়েই কেউ এই বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি নয়। অথচ প্রাধান্য দেওয়া উচিত আপনাকে কে পছন্দ করেছে অর্থাৎ সে যদি সুন্দরও না হয় কিন্তু আপনাকে পছন্দ করেছে, তাহলে আপনি বিয়ের পরে বেশি আনন্দে থাকবেন। তাই অন্যের পছন্দকে প্রাধান্য দিলে নিজে সারা জীবন আনন্দে থাকবেন। কারণ, সে আপনাকে আনন্দ দেওয়ার জন্য ব্যস্ত থাকবে।  ৫। যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ একজন পাত্র/পাত্রীর পড়াশুনা, উচ্চতা, সৌন্দর্য্য সব কিছু পছন্দ হলেও শুধু পছন্দের এরিয়াতেই বা দূরে বাড়ি হওয়াতে বিয়েতে রাজি নয়। একটা সময় ছিল যখন ঢাকা থেকে রংপুর যেতে ৮/৯ ঘন্টা লাগতো কিন্তু বর্তমানে ৪/৫ ঘন্টা লাগে। তাই সেই দুরুত্ব থাকলেও সময় কিন্ত কম লাগে। এসব বিষয় বিবেচনা করলে বিয়ে সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া ইন্টারনেটের ব্যবহার, ভিডিও কলে যোগাযোগ ইত্যাদি কারণে এখন আর কেউ আসলে দূরে নয়। ৬। পড়াশুনাঃ পাত্ররা নিজের চাইতে কম বা সমমানের পড়াশুনা জানা পাত্রীকে বিয়ে করতে চাইলেও, পাত্রীরা এব্যাপারে সম সময় নিজের চাইতে বেশি আশা করে, কম পড়াশুনার পাত্রকে বিয়ে করতে চায়না। কিন্তু একটি মেয়ে বেশি শিক্ষিত হতেই পারে, তাই বলে তাকে বিয়ে করা যাবেনা। বিয়ের পরে সংসার চালাতে অর্থ লাগে, সাহস লাগে যা পুরুষের যদি থাকে তাহলে কম শিক্ষিত হলে অসুবিধা কি। তাই কম শিক্ষিত ছেলেকে বিয়ে করলে আপনার প্রতি ভালবাসা বেড়ে যাবে। ৭। পেশাঃ পেশার ক্ষেত্রে অনেক পাত্রীই চায় সরকারি চাকুরিজীবী বা ব্যবসায়ী বা প্রবাসে (ইউরোপ, আমেরিকায়) থাকতে হবে। যদিও তাঁর অন্যান্য বিষয় পছন্দ হলেও শুধু পেশা পছন্দ না হওয়ার কারণে বিয়ে হয়না। এক্ষেত্রে সম্মানজনক রিজিকের সাথে সম্পর্কিত কিনা সেটাকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাহলে বিয়ে সহজ হবে। ৮। পারিবারিক অবস্থাঃ বর্তমানে পাত্র উচ্চ শিক্ষিত, ভাল পেশার সাথে জড়িত কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্য কম শিক্ষিত বা ভাল পেশার সাথে জড়িত না হওয়াতেও বিয়ে হয়না। অথচ যদি পাত্র যোগ্যতা সম্পন্ন হয় তাহলে পরিবারের অন্যরা কম শিক্ষিত হলে বা কম যোগ্যতা সম্পন্ন হলে বরং বিয়ের পরে ঐ পাত্রী বেশি সম্মান ও ভালবাসা পেতে পারে।  ৯। ধর্মীয় শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়াঃ ধর্মীয় শিক্ষা না থাকাতে চাহিদা বেশি থাকে। কারণ, তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব থাকে, অল্পতেই খুশি হতে পারেনা। যদি ধার্মিকতাকে প্রাধান্য দেন তাহলে বিয়ে সহজ হবে। কারণ, ধার্মিক পাত্র/পাত্রীদের চাহিদা কম থাকে।  ১০। দুনিয়াকে প্রাধান্য না দেওয়াঃ দুনিয়ার জীবনে যাদের শান্তিতে, আরামে, থাকতেই হবে একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে যায় সেই মানুষেরা নিজের পছন্দের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দিতে পারেনা, ছাড় দিতে চায়না। ফলে তাদের জন্য বিয়ে কঠিন হয়ে যায়, সহজে বিয়ে হয়না। এই জন্য দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেওয়া যাবেনা। দুনিয়াতে জীবন কাটাতে হবে- এইজন্য জীবনসংগী প্রয়োজন। তাই বিয়ে করতে হবে, এভাবে চিন্তা করলে বিয়ে সহজ হবে।  ১১। অল্প বাজেটঃ বিয়েতে প্রচুর খরচ যেমন, গায়ে হলুদ, বৌভাত, সাজ-সজ্জা, হানিমুন ইত্যাদি বিষয় চিন্তা করেও বিয়েতে দেরী হচ্ছে। অথচ এগুলো কোন বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। আপনি কনেকে দেখবেন, পছন্দ হলে কয়েকজনকে সাক্ষী রেখে, পিতা-মাতার উপুস্থিতিতে বিয়ে করে ফেলবেন। এরপরে আত্বীয় স্বজনদেরকে জানিয়ে দিবেন। পারলে খরচ করবেন, না পারলে করবেননা। এভাবে অল্প বাজেটে বিয়ের চিন্তা করুন, বিয়ে সহজ হয়ে যাবে। ১২। নিয়্যত করা ও প্রস্তুতি শুরু করাঃ আপনি বিয়ে করতে চাইলে প্রথমে নিয়্যত করুন এবং চেস্টা শুরু করে দিন। বিয়ে করবো, করতে হবে। এইজন্য পাত্র হলে কিছু অর্থ সঞ্চয় করুন। নিজের নিকট আত্বীয়দের জানিয়ে দিন। ১৩। টাইম লাইন ঠিক করাঃ আপনি কত দিনের মধ্যে বিয়ে করতে চান সেটা ঠিক করুন। ২ মাস ৬ মাস বা ১ বছর- নির্দিস্ট করুন। এভাবে টাইম লাইন নির্দিস্ট করলে নিজের মধ্যে বিভিন্ন প্রয়োজন ও প্রয়োজন পূরণের তাকিদ সৃষ্টি হবে। অন্যথায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। ১৪। অর্থ বাজেট করুনঃ বিয়ে করতে আপনাকে অর্থ খরচ করতে হবে। সেই জন্য বাজেট ঠিক করুন। কনেকে দেখা, যাতায়াত, উপহার দেওয়া, বিয়েটার জন্য বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। বরের জন্য নিজেকে সাজিয়ে তুলতে হবে। সেই জন্য সুন্দর পোশাক উভয়কে ক্রয় করতে হবে। বিয়ের সময় খরচ, বিয়ের পরবর্তী কয়েকমাস সুন্দরভাবে স্ত্রীকে পরিচালনার খরচ ইত্যাদি আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।  ১৫। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা রাখাঃ দুনিয়াতে কেউ পারফেক্ট নয়, এটা সম্ভব নয়। আপনার পছন্দের একটি লিস্ট করুন- যেমন বয়স, পেশা, পড়াশুনা, উচ্চতা, সুন্দর (ফর্সা, স্লিম, উজ্জ্বল শ্যমলা) ইত্যাদি। এখানে কোননা কোন বিষয়ে ছাড় দিতে হবে বা কোন বিষয়ে ছাড় দিবেননা সেটা মাথায় রাখতে হবে।  এতসব বিষয়ে মধ্যে ছাড় দেওয়ার মনমানসিকতাই আপনার বিয়েকে সহজ করে দিবে ইনশাআল্লাহ।